Sunday, June 30, 2019

কি আছে কি নেই

এখানে আলো আছে, আঁচ নেই
নদী আছে, সেতু আছে, নৌকো নেই
ঘুম আছে, কাজ আছে, সন্ধ্যে নেই
ফল আছে, মাছ আছে, ক্ষিদে নেই
মেঘ আছে, বৃষ্টি আছে, বর্ষা নেই
ট্রাম আছে, কবিতা আছে, হাওয়া আছে,
আছে জমে থাকা কাপ, জনমগ্ন কাফে
আছে জমতে থাকা শব্দের পুড়তে থাকা বর্তমান ,
আগামীর পাতায় উল্টে যাওয়া ইতিহাসের অভিমান;
আছে নতুন দীর্ঘশ্বাস, না থাকার ভিড়ে থাকার অবকাশ
 আছে প্রত্যাখ্যাত ছন্দের ক্ষত, আছে আরও কিছু মাস
কবিতার শুরুতে ভেবেছিলাম তুমি শুধু নেই
শেষে কবিতাও তোমার প্রেমে পড়লো সেই।

Saturday, June 29, 2019

শিক্ষিত বস্তি

আমার কাউকেই ভালো লাগে না, আশ্চর্যের কিছু নেই
মানুষ নামে কলঙ্ক ঘুরে বেড়াচ্ছে ভেতরে বাইরে
যেখানেই দেখি বিরক্তি অতিরিক্ত কিছুই খুঁজে পাই না
শুধু কৌতূহলের মশলায় চচ্চড়ি হতে বসেছি।
কি ইচ্ছে জানার আমি কার প্রেমে পড়ে আছি
নির্লজ্জ সমাজ। থুতু ফেললেও বোধহয় তা কালো হয়ে যাবে,
অথচ এদের যতই সর্দি লাগুক, মনের ময়লা দূর হবে না,
এরা এরকমই থাকার জন্য জন্মেছে, শিখেছে, এরকমই থাকবে।

Thursday, June 27, 2019

খেলা-ধুলো

তুমি বললে চাঁদেও কুমির-ডাঙা খেলতে পারি।
মুখ বুজে খেতে পারি কাঁচকলার তরকারি।
মিঠে হাওয়ায় ব্যালকনিতে আম খায় কোন মামনি
কচি প্রেমিকের হৃদয়ে বেজে ওঠে সংখ্যধ্বনি
গান ধরে রেডিও, আলো রাতে খুঁজে ফেরে বাড়ি
খোলা আকাশের প্রেমে কোথাও আটকে যায় ঘুড়ি।

আমি অবশ্য এসব পারি না, কি পারি তাও জানিনা
তাই বোধহয় আমারও " হাহুতাশ গেলো না।"
উপায় তো নেই তোমার গাল আলতো ছোঁব ঠোঁটে
সহ্য তো তুমিও করছো কিছু ব্যাথা গাঢ় এক চোটের।
এসো, লুডোর থালা সাজিয়ে আবার তিন ছক্কা ফেলি
বঙ্গ, মৃদঙ্গ যা বাজছে বাজুক, আমরা বন্ধু বন্ধু খেলি।
                             এখানে নিয়ম শুধু তুমি বানালে খেলা শুরু হতে নারাজ 
                             যদিও সব খেলাই শেষে তোমার আঙুল ছোঁয়ার অজুহাত
                            আজকাল নাকি নিয়ম হয়েছে শুনি প্রেমে পড়া বারণ
                            পোড়া মহাভারতের রাবনরা গুলে খেয়েছে রামায়ণ।
                           সীতার বনবাসে কঙ্কাল জুটে যায়, রাম করে না দরাদরি
                            মাটিতে মিশবে না তুমি কখনও, শুধু এইটুকুই আমি জানি।

Tuesday, June 25, 2019

প্রেম

সন্ধ্যে না নামা শহরের কোলে ফুচকা বিক্রি হয় না
হাতে হাত থাকে বটে, প্রেমের মেলেনা ঠিকানা
রাত আসে, সকালে মেলানোর জন্য
ক্লান্ত সকাল ফাঁকা পকেটে আগুন খুঁজে পায় না।
তোমার ঘুম ভাঙে; আলোয় না, ফিরে আসা শব্দে
গোলাপি ঠোঁটে চুলের আড়মোড়া, নির্বাক তুচ্ছ বায়না।

আঙুল প্রেমিক, হাওয়ায় আঁকে ঠোঁটের জোয়ার ভাঁটা
এলো চুল অহংকার ছায়া, স্বরচিত মৃদু মরীচিকা
এগোতে তাই ভয়, পাছে অহংকারের ঘুম ভেঙে যায়
গলে যায় প্রেমিকের মোম, জমে যায় ব্যাকুল হৃদয়।

প্রখর গরমে ভেজে দিন, ভুলে যেতে হয় গল্পের শিরোনাম
বেঁধে রাখো চুল, খাঁচা বন্দি প্রেমিকের মন বড্ড ছিমছাম।

অন্য শহরে রাত জাগো তুমি, তারায় তারায় মোড়া
থেকে যায় শব্দ, থেকে যায় সব, শান্ত ছিল যারা।

মিলে মিশে যায় কবিতার ক্ষত, উপহাসে ঢাকা বুক ;
স্পর্শকাতর চা নীরবে খোঁজে দিনের প্রথম চুমুক




মহাশহর

বড় শহর, ইতিহাসকে মুঠোয় রাখা শহর
জঞ্জালকে ঘর দিতে পারা মহাশহর;
রাস্তায় তারার মেলা বসাতে সক্ষম শহর।
গাছ, মানুষ, কংক্রিটের অহংকারের শহর।
প্রাণপনে বাঁচতে চাওয়ার শহর, হাহাকারের শহর।
এ শহর মজবুতির শহর, মেরামতের শহর।
শুধু স্নিগ্ধতা খুঁজতে গেলেই ছন্দ ভেঙে যায়।।

Sunday, June 23, 2019

বোবা

এতো শব্দের ভিড়ে
তোমার জন্য শুধু একটাই গান লিখতে চায়
সে গান কিছুতেই আসে না,
তাই ভাষা খুঁজে পেয়েও বোবা কণ্ঠ হারায়।

গানের খাতায় নীল
অঞ্জন, মহীন , সুমন বা অনুপমের ফাঁকা ফ্রেম
কোথাও ঘাপটি মারা অভিমান,
কোথাও শ্রীজাতর ছাটে ভেজা এক-দু পাতা প্রেম।

ভেসে যায় চোখ, ঝরে যায় সময়ের বালি
বোঝে না বোবা
ছোঁয়া পাওয়া হাতও কেন থেকে যায় খালি।

মুঠোর চেয়েও ছোট যে হৃদয়
জানে না বোবা তার আসল পরিচয়
দিন দিন বাড়ে রক্তের চাপ
হায়! এতো কথা সে জমায় কোথায়?

Saturday, June 22, 2019

অন্তরীক্ষ

অন্তরীক্ষ; দুটি ক্ষুদ্র তারার মাঝে অসীম তার ব্যাপ্তি।
দুটি তারা, আপন আলোয় আপন বৃত্তের কান্ডারী যারা
কাছে আসা মানেই যাদের দূরে সরে যাওয়া।
অন্তরীক্ষ, আলোয় হারানো কিছু আলো খুঁজে পাওয়া।

সব তারা পোড়ে না, হঠাৎ যায় গুটিয়ে
ভয়ানক আঁধারে আলো শোষে চুটিয়ে;
তরঙ্গ ছুটে আসে প্রানপনে পালিয়ে
কোন বীনা নেবে তারে সংগীতে সাজিয়ে?

ধিকি ধিকি রাতে জ্বলে হৃদয়ের কূপ
ধূলো ঢাকা তারারা আজ ধংসস্তূপ।
পাহাড়ের হাহাকারে ফোটে ঝর্নার রূপ
ভালোবাসা নতমুখে থেকে যায় চুপ।

Sunday, June 16, 2019

কঙ্কাল

কঙ্কাল হতে গেলে মাংস হারাতে হয় না।
রক্ত, মাংস, চামড়া, নিদ্রা, কিছুই হারাতে হয় না।
সুপুরুষ, রাজকীয় তেজ থাকলেও মন্দ নয়,
বরং সে তো প্রতিভার পরিচয়।
কঙ্কাল হতে চাইলে শুধু একটি বলিদান চাই।
ভেবে দ্যাখো তো, আমরা কি আদৌ কঙ্কাল নই?

অনেকেই ভাবে মৃত্যু আসলে দ্বার মাত্র;
ধর্মের শ্মশানে পুঁথির চিতা প্রতিনিয়ত
তন্ত্র সাধনায় লিপ্ত হয়ে জন্ম দিচ্ছে কঙ্কাল,
তুমি, আমি ভিন্ন কে বইছে শুনি সে মশাল?

দেখতে পাচ্ছ না, অসংখ্য শেয়ালের আত্মা?
লোলুপ দৃষ্টি, শুধুই নতুন দেহের অপেক্ষা;
আরও একটি দেহ, যার কঙ্কাল বানাচ্ছ তুমিও
এই মহামারী জল চেয়েছিল ঘাটে। পেয়েছিল?

কঙ্কাল কঙ্কালে মঞ্জিরা রেষারেষি
করতালি দেবে সেই কঙ্কালই পাশাপাশি
আমি দেবো, তুমি দেবে; দেবে গুরুজন
অন্ধ কঙ্কালের খুঁজেছো কি মন?

কে বলে, রাত কালো, দিনে যত আলো?
রাত দিনে মিলে মিশে জোট করে ভালো।
দিন মানে স্বর্গ, পাতালের রাত?
আয়নার সামনে ছাড়ো দেখি বাত!
হাঁড়ির বুকের আঁচে ফুলে ওঠে ভাত
তবু ভালোবাসা ছোঁয়না কঙ্কাল হাত।

তাই আমি আছি, তুমি আছো, রাত্তির জেগে
অনুমানে অসংখ্য তারারাও ভোগে।
কোথাও হারিয়ে গেছে খেলনার তাক
এই কঙ্কাল সমাজে সে হারিয়েই থাক।।

সমস্যা

সমস্যা কি, তা আমি বুঝিনা।
সত্যিই বুঝিনা, চেষ্টা করেও বুঝতে পারিনি।
প্রাচুর্যে শৈশব কেটেছে আমার
তাই সমস্যা কাকে বলে, আমি চিনতে শিখিনি।

আমার কাছে সমস্যা মানে প্রেম
তোমার কাছে এই সমস্যা হয়তো হাস্যকর,
আন্দোলনের লাল ওড়না তোমার শিখা
আর আমি? আমি শুধু পূবের শীতল হাওয়া ।

আমার শব্দেও তাই তুমি আর আসো না
এখানে নিজের জায়গা করতেও অনিচ্ছুক।

Saturday, June 15, 2019

ছোটদের জন্য

তখন ছোট ছিলাম, আঙুল ধরে হাঁটতাম
মা ভয় পেতো রাস্তায় হারিয়ে না যাই
মাসি ভয় পেতো পাছে গাড়ি চাপা পড়ি
বাবা এমনিই ধরে থাকতো, এখনও যেমন ধরে
কাকু ভয় পেতো অন্য দোকানে না ঢুকে যাই
ভাইয়ের  ভয়, অচেনা রাস্তায় কেউ তাকে তুলে না নেয়
তখন ছোট ছিলাম, আঙুল ধরে হাঁটতাম সবসময়;
ভয় তো আমারও ছিল, প্রেম যেন না পালায়।

ভাবতে ভাবতে কি ভাবে যে বড় হয়ে গেলাম!

Thursday, June 13, 2019

রোয়াক

আমাদের পাড়ায় এখনও রোয়াক পাওয়া যায়। বিকেল ডুবতে শুরু করলেই বেগুনের ডুব সাঁতার দেখতে পাবে। সাথে আলুর ছাল ছাড়ানো গঙ্গাস্নান। পেঁয়াজ বা রসুন এই ঘাটে এখনও ঢোকার বৃথা কিছু চেষ্টা করে চলেছে, কিন্তু তাদের জাতে ওঠা এখনও হয়ে ওঠেনি। বলে রাখি, এখানে অবশ্যই মানুষও আছে। সন্ধ্যে নামলেই তারা একটু গদগদ হয়ে পড়ে। রোয়াক হয়তো মাঝে মধ্যেই শূন্য থেকে যায়; তার সাথে গল্প করবে এরম ঘটনারা আমাদের পাড়া ছেড়ে কবে যেন চলে গেছে!
একটু এগিয়ে ডান দিকে ঘুরে সোজা কিছুটা গিয়ে যদি বাঁ দিকে ঘুরতে পারো, তবে মিষ্টি একটা গন্ধ পাবে। জিলিপির প্যাঁচের ঘুরঘুর গন্ধ। বেগুন, আলুর মত জিলিপি দশাসই নয়। সে ঠিক ফাঁক-ফোঁকর বের করে চেহারাটা পাতলা রেখেছে। তাই সে সহজেই মিষ্টি পুকুরে ভেসে বেড়ায়। ওই যা হয় আর কি, ঘাটে সবাই স্নান করে কিন্তু আমাদের চোখ সবার দিকে যায় না। জিলিপিরা একটু আলাদাই। অনেকেই ভাবে এ হল আসলে রসের গুন। অনেকের ভাবনা দিয়ে আদৌ কি এসে যায়?
ওদিকে আবার কিছু তিন চাকা বেশ কিছু ঘরের চাকায় তেল ঢালে। দিন দিন দাম বাড়ছে, চাকা বাড়ছে না। কিন্তু তেল? বাঙালির পাড়া, এখানে তেলের কখনও অভাব হয়না। ওই তো, সোজা গিয়ে বাঁ দিকে অনেকটা গেলেই দু দুটো মিল আছে। আহ! সে কি নেশা ধরানো গন্ধ কি বলবো! অনেকেরই তাই সন্ধ্যে গাঢ় হতে নাক সুরসুর করে ওঠে। খেতে হবে, তাই খাওয়া। আর তারপরেই যা ভাবছো, ঠিক তাই।
এই পাড়ায় কিন্তু একটা গল্পও ছিল। এখনও আছে কিনা, তার উত্তর আমি তোমার ওপরেই ছাড়লাম। সেখানে সেই রোয়াকের ধারে একটা সবুজ সাইকেল মাঝে সাঝেই এসে দাঁড়াতো। তার ছিল মোটে দুটো চাকা কিন্তু কত চাকাই না তার ওপর ভর করে চলতে শুরু করলো! চাকার হাত ধরে দিনও হাঁটতে শিখলো। তারপর কবে যেন সে চাকাকে পেছনে ফেলে দ্রুত, খুব দ্রুত কোন সুদূরে উধাও হয়ে গেল। আজ আর ওই দুটি চাকার কোনো খোঁজ নেই। মাঝ সকালের ঘুমে কাতর হাটে তারা নিলাম হয়ে গেছে।
আমাদের পাড়ায় এখনও রোয়াক কিন্তু আছে। এই যে এখানে, সামনে দেখতে পাচ্ছ ঢালু বাঁধ নেমে গেছে, দ্যাখো, ঠিক তার পেছনেই, তোমার পেছনেই আমাদের রোয়াক। তার সাথে ভাব জমাতে যদি চাও, ধৈর্য ধরো। একা বসে শূন্য চোখে সে কত জল বইতে দেখেছে। মাঝে মাঝে কিছু জল উপচে এসেছে তার কাছে। প্রখর গরমেও যদি কালবৈশাখীর দেখা না পাও, রোয়াকের কাছে যেও। হয়তো সে এতদিন শীতল হয়ে আছে তোমারই আঁচের অপেক্ষায়।


Cake

ছেলেটি ভেবেছে একটা কেক কিনে খাবে
পয়সা দিয়ে না, কব্জির হঠাৎ বেড়ে ওঠা জোরে
কোন দোকান, কাদের চোখ, কার নোনা আর্দ্রতা
কেকের কিছুই এসে যায় না তাতে, সে শুধু
বাসি হতে চায় না।

কেউ সন্ধ্যে নামলে ময়দানের খুব কাছে যায়
অন্ধকার ময়দানে ঢোকা নিষেধ; কান পাতলেই
বোধয় ফেলে আসা অন্ধকাররা নতুন শ্রোতা পায়;
অতএব একটু চিনি মেশা প্রয়োজন কাঁচের গেলাসে
পাছে তেতোও হঠাৎ মিষ্টি হয়ে ওঠে।

এদিকে শুনছি শিক্ষক নামতা ভুলে গেছেন
ভয়ের কিছু নেই, ইতিহাস অবহেলার এ এক ছোট্ট ফল
ছাত্ররা খুবই হাসছে তাই, আজ তাদের ভয় উধাও
স্টাফ রুম, চক, ডাস্টার, কঞ্চি নিয়ে তারা ভাবে না।
ভাগ্যিস ভাবে না; টিফিনে কেক পেলেই তারা খুশি ।।

Wednesday, June 12, 2019

Reminisce

What does it mean, this idea of life ?
Neither does it reach somewhere,
Nor does it remain stagnant anywhere.
A mere repeat of its own playlist,
A sorry shadow of dead hopes and beliefs,
What does it really mean, to live?
There was once a young version of me,
A small mass of innocent clay, and dreams
And then it rained, each drop an arrow
Pierced the clay, isotropic in its magnanimity
And washed away the diffused in its entirety.
No wonder I wonder what life really means!
I wonder what love once meant to you and me.

I'm too afraid to talk about love anymore
Why bother? My love is destined to die with me.

Tuesday, June 11, 2019

Aha re

যদি সত্যি কথা দিয়ে এই কবিতা তৈরী করি,
তবেও কি তুমি ফুটে উঠবে না?
ছন্দ তো তুমি মানো না আমার সাথে,
তাই একটু ছন্নছাড়া হয়েই দেখি না,
এতো রঙের ভিড়ে তুমি ভেসে ওঠো কি না;
যদি জানতে চাও আদৌ তোমায় কি চিনেছি,
বোকার মতো উত্তর দিতে উদ্যত হয়ে থেমে যাবো।
থেমে যাবো, কারণ সত্যি বলতে এটুকুই চিনেছি নিজেকে-
তোমায় ছোট খুশি কিছু দিতে পারি, হয়তো তাই যথেষ্ট।
তারপর যা যা আছে, যতটা আছে, শুধু তুমি আছো
কিন্তু সেই থাকায় শুধু আমার চাওয়া আছে, বারবার; অনবরত ;
এতো চাইলে শুনেছি দেওয়াটা কিছু কমে যায়। আমি জানি না।
এক সময় ছিল যখন ভাবতাম এই চাওয়াই হল ভালোবাসা
এখন চারিদিকে এতো চাওয়া দেখি, নিজের ভালোবাসাকেই ভয় হয়।
তাই তোমায় চেয়েও চাইতে পারিনা, তোমায় ছুঁয়েও ছুঁতে পারিনা।
শুধু বারবার মনে হয় তোমায় ভালোবেসেও ভালোবাসতে পারি না।

Monday, June 10, 2019

সন্ধ্যের পাতা

রাত নেমেছে পাতার ওপর
সন্ধ্যে ভারী মনে তাই উঠে চলে গেল
তার কথা কিছু বাকি ছিল,
বুঝতে পারেনি চোখের জলের আবছা আলোয়
কখন আলো মাথার ওপর থেকে নেমে গেছে;
ওদিকে পাতারও যেন কিছু বলার থেকে গেল,
তার কণ্ঠ পিছু ডাকতে জানে না, শুধু সাড়া দেয়
তাই সন্ধ্যে যে চোখের জলে তার গোড়া সিক্ত করেছে
চোখ বুজে বুকের ওপর রাতের শিশির বিছানা পেতে দিলো।

রাজার ব্যাধি

আমার সাধ্যের বাইরেও একটা জগৎ আছে,
আমার অহংকারের খুচরোর চেয়ে একটু দামী,
সেখানে সূর্যও আছে, চাঁদ, শুকতারা, শূন্যতা,
সাথে ফল, ফুল, চাল, ডাল, খিচুড়ি, আলু ভাজা;
আরও যা যা থাকার, যে যে থাকার, সবাই উপস্থিত
গন্ডির ওপারে এই দেশের জড়তা খুব অপার।
তাহলে এই যে আমার রাজপ্রাসাদের প্রাচুর্য,
এর মূল্য কি আদৌ কিছু নয় তবে? ধুস! কে বলেছে?
আমি মহাবিশ্বের রাজক! এই সাম্রাজ্য ক্ষুদ্রতম হলেও
এখানে আমার চেয়ে বড় কেউ নেই, কেউ হতে পারে না
গোধূলির উন্মত্ত অরুণাভ নৃত্য আমার, আমার, আমার।

Friday, June 7, 2019

White

I will die with myself, my friend.
Silently into a strong breeze shall I pass
Without a single bit left of me
For any soul to mourn, for anyone to hold
Any grudge, any memory, any song
I, my friend, will pass away once and for all.
For I am Birth and in me lives Death,
Writing my stories with its fountain pen;
A fountain of emotions, along the circumference
Evaporating into colourless images, only
For the steady breeze to take them away, far away.
In a cotton country facing the red shore,
Black dots, like a child's painting, above the horizon
Cascading waves of enveloping hypermetropia
White would settle down, slowly on the canvas.

ধুলো ২

আকাশে মেঘ করলে ধুলো ভয় পায়
বহু পরিশ্রমে সে শূন্যের কিছু কাছে পৌঁছতে পারে
যদিও আমরা জানি, সে কখনোই 
মাধ্যাকর্ষণের বোঝা কেটে উঠতে পারবে না,
কিন্তু ধুলোর অত বিদ্যে নেই, সে শুধু চেষ্টা বোঝে
আর গরম হাওয়ার ভরসায় শ্রমে লিপ্ত হয়;
এর মধ্যে হঠাৎ ব্যাঙাচির ডাক তাই কর্কশ লাগে।

গ্রাম ছেড়ে তাই সে আজ শহরে উপস্থিত হয়েছে
ভেবেছিল এত মানুষ থাকায় এখানে গরম বেশি হবে,
ঠিকই ভেবেছিল, কিন্তু অল্প বিদ্যায় বোঝেনি
যে তার মতোই অসংখ্য কোটি কোটি জাতভাই
এখানে একই আশা নিয়ে আগেই এসেছে। যে ছিল
বৈশাখের মেঠো হাওয়ার বংশীধারী একচ্ছত্র নায়ক,
আজ বুঝেছে, সে ধুলো নয়, শুধুই একটি ধূলিকণা।

এবার সে জঙ্গলে যাবে ঠিক করে নিয়েছে।
হ্যাঁ, এখানে হাওয়া অনেক বেশি শীতল হবে ঠিকই
বৃষ্টিও তাকে বারবার মাটিতে ফেলবে, কিন্তু ক্ষতি কি?
কারোর পা এসে তার নাক মাটিতে ঘষে তো দেবে না;
এখানে শূন্য পাওয়া না গেলেও ময়ূর-নৃত্য তো আছে।
হয়তো অনেক কিছু আছে, তার আশার বিপরীত
কিন্তু ওই যে বললাম, ধুলোর অত বিদ্যে নেই
তাই পছন্দের স্বপ্নে সে ইচ্ছেমত ভেসে বেড়াতে পারে।

Wednesday, June 5, 2019

ধুলো

আমি ধুলো; কঠিন লড়াই-এর শেষে আমার জন্ম,
তবে এই জন্ম তো আমি চাইনি।
জীবনের রাজপ্রাসাদ গড়ে চলা মহা বিস্ময়কর জগতে
ভাবতো, দেখেছো আমার মতো? জীবনে যার অভক্তি।
কল্পনা আমায় বলে, শূন্য থেকেই নাকি অশূন্যের জন্ম,
মেনে নেব? নিতে হবে? কেন? মন্ত্রী চেয়েছে বলে?
শূন্য কি অতই সস্তা তোমাদের ছেঁড়া কাপড়ের অঙ্কনে?
আমি ধুলো, আমি শূন্যে যেতে চেয়েছি আজীবন!
কোথায়? কোথায় শূন্য আছে বলতে পারো আমায়?
জন্মেছ বরফের ছায়ায়,
                 তুমি নাকি লিখবে ধুলোর ইতিকথা!

Sunday, June 2, 2019

পর্ব

পর্ব; পর্ব নেমেছে সর্গের রথে চড়ে
নেমেছে তোমার, আমার পাড়ায় ,
হ্যাঁ, এই কুকুর খ্যাঁদানো, লোডশেডিংয়ের পাড়ায়
ধর্মের পর্ব, ঘটের পর্ব, ধর্মঘট এলো বলে ;
এই ছুটির মরশুমে ভেবেছো কোথায় যাবে?
ডান দিকে সমুদ্র, বামে খ্যাপা অরুনাভ পর্বত
তুমি ভাবছো মাঝেই থাকবে? ভেবো না,
ভেবেও কিছু হবে না, আমরা সীমানার পিঁপড়ে
গোল গোল পৃথিবী, পুবের সূর্যোদয় পশ্চিমের চন্দ্রাস্ত।
প্রশ্ন হল, মাঝের সিংহাসন কি তবে শূন্য?
কোন শূন্য? শূন্যের ভেতর শূন্য, ঢাকে মহাশূন্য
তাই যে পর্ব নেমেছে পাড়ায়, সেই তামাশা দেখো
শূন্য থেকেই সৃষ্টি যখন, অন্তঃসার আদতে সেই শূন্য।

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...