Friday, May 31, 2019

The Dot

The Earth seems to rotate too fast tonight
There was but an object at my balcony
A while ago, a non-twinkling steady source
Of light, a little bigger than a dot, glowing
Contrast of white in all pervading black;
It is still there, just about to hide behind
The concrete, proof of reality, all too soon.
The Earth must be rotating too fast tonight.

সময়

সময় চয়ন করতে বলে
অনেক পথের একটি পথ
বহু নিশানের মাঝে একটি রথ
সময় সব সময়ই চয়ন করতে বলে বটে
কিন্তু কখনও সারথি চয়ন করা যায় না।
হয়ত সারথির ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে নেই
হয়ত ওঠার মত আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই
তাহলে কেন মিছেমিছি সময় খেলতে চায়?
সবাইকে বড় করে দিয়ে এই অদ্ভুত আবদার কেন?
সময় কি চায়, তা সময় কি বুঝেছে এখনও ?
যে সময় সবার, সকলের, সকল কিছুর,
সেই সময়ের সময়ের হিসাব কে রেখেছে বলতে পারো?
হয়তো সময় জানে, কিন্তু সে বলবে কেন ?

Thursday, May 30, 2019

দিন

আকাশ মেঘলা, দিন তো না
তবে দিন ঠিক কি?
দিন যদি শুধুই সময় হয়
তবে ফিরে আসে কেন?
কে কার পাশে ঘুরলো,
তা দিয়ে কি সত্যিই দিনকে চেনা যায়?
বিকেল কি আদৌ দিনের রাত্রি নয়?
যাই হোক, বলছিলাম আকাশ মেঘলা
সে বলে কি তোমার সূর্যোদয় হবে না?

Tuesday, May 28, 2019

থলি

মাঝ গলিতে ইলাহি পটল, হাঁক দিচ্ছে নাক ,
নাড়ুর বাড়ির চাঁদ উঠেছে ছাদের কোনে ফাঁক
তিন পটলে বেগুন বাছা লাল লঙ্কার সাজ
এই বুঝি সাইকেল এলো, ফুচকায় বড় ঝাঁজ।
পালং যাচ্ছে থলির কোনে, আলতো ছুঁয়ে বরবটি
সাইকেল নাচে তা ধিন ধিন; দুইয়ের পায়ে এক চটি।
খরমুজ গোণে বিচির খেয়াল, পেপে পায় না আমের আঁটি
মাছের চোখে জল জমেছে, মুরগিগুলোর দাঁতকপাটি।
হলদে কাঁঠাল সবুজ হারায় সান্ধ্যকালীন আলো বাজার
"আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি" নির্বিকার।।

Monday, May 27, 2019

Satya

মন তো চাইতেই জানে, তার অত দোষ নেই
চিন্তা নেই, তুই না মানলে মনকে মানিয়ে নেব ;
কিন্তু তোকে কি আদৌ মানাতে পারবো?
বোকার মত ভালোবাসি, তাই বোকার মতোই বলি
অথবা বোকার মত না বলেই দিন পার করি,
তোকে দেখি, তোর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিরই অগোচরে,
মন ভোরে দেখি, এই হয়তো একদিন যথেষ্ট হবে,
হওয়া উচিতও; তোকে ভালোবাসায় ফাঁকি দেব না,
তা যতই ভুল হোক, অকারণ হোক,
এই ভালোবাসা যদি মিথ্যে হয়, তবে আমার সত্যি কি?

Tuesday, May 21, 2019

যখন সূর্য ঘুমোয়

আকাশে, খুব কাছে চাঁদ প্রায় সম্পূর্ণ
প্রায়; কারণ বাকিটায় অন্ধকারের বোঝা আছে।
শুনছি, চাঁদ নাকি দিনে দিনে দূরে চলে যাচ্ছে
চাঁদে সমুদ্র নেই, পৃথিবীর মন অন্য কোথাও ভুলেছে।
এক তরফা টান, শুকনো চাঁদ, যদি কিছু জল আসে
ঢেউ ওঠে, চাঁদের অন্তরালে, ভাঙে পৃথিবীর বুকে।
তাই একটু একটু করে চাঁদ নাকি দূরে সরে যাচ্ছে,
অনেক ধূমকেতুর আঘাত তার শরীরে স্পষ্ট
রঙিন পৃথিবী সাদা কালোয় ভবিষ্যৎ খোঁজে না।
কাহিনীর সাক্ষী, আদিম ধ্রুবতারা পূর্বের উত্তর
নির্বিকার, খেলা শেষের অপেক্ষায়, অক্ষয়।

যথাস্থান

যে রাস্তার ওপর বর্তমানের সাইকেল চলছিল, তা অনেকদিন মেরামত হয়নি। কোথাও গুঁড়ো গুঁড়ো রঙিন ইতিহাস , কোথাও আগামীর ভেঙে পড়ার সংকল্প এড়িয়েই অনুপ অতি ব্যস্ততার সাথে একটু দ্রুত বেগেই সাইকেলটি ছোটাচ্ছিলো। আজ দেরি হয়ে গেছে। হতচ্ছাড়া কেলুয়া দুপুরে মোষের মতো ঘুমাবে আর বেচারা অনুপকে দিদিমনির ধমক সইতে হবে। এই ভাবতে গিয়েই নিজের অভ্যেসে পাঞ্জাবির পকেটের ওপর একবার হাত বুলিয়ে সে দেখে নিলো তার হার্মোনিকাটি সেখানে আছে কিনা। যা অসাধারণ রাস্তা, বিশ্বাস নেই কখন অতি বিস্বস্ত হার্মোনিকাটিও তাকে ছেড়ে রাস্তার ধুলো মাখতে ব্যগ্র হয়ে ওঠে। কথাটি ভাবতেই মনের ভেতরটা খাঁ -খাঁ করে উঠলো। কি হয়েছে তার? এতো ভয় কিসের? আর বেশি কিছু না ভেবে সে সাইকেলের গতি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলো।
যা ভেবেছিলো, ঠিক তাই। রাতুল, সুবীর, কানু, হারান সবাই পৌঁছে গেছে তার আগেই। ভেতর থেকে বিকট একটা সুর ছুটে আসছে, যেন নিজের স্রষ্টার থেকে কত তাড়াতাড়ি দূরে পালানো যায়। সাইকেলে তালা লাগাতে লাগাতে অনুপের বুঝতে বাকি থাকলো না হারান মনে প্রাণে ফুঁ দেওয়ার চেষ্টা করছে। হাসি মুখেই অনুপ কমলা দিদিমনির ক্লাসরুমে ঢুকলো। তাকে দেখেই দিদিমনি কড়া ভঙ্গিতে বললেন, "তোমার বোধয় ইদানিং বড্ডো কাজের চাপ বেড়েছে। " যা ভাবনা তাই! রোজ রোজ তো আর বলাও যায় না কেলুয়া দুপুরে পড়ে পড়ে ঘুমায় বরাদ্দ সময়ের ওপরে, তাই অনুপকেই কেলুয়ার ইস্তিরি গুলো এগিয়ে রাখতে হয়। সে কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো।  কমলা বললেন, "হোমওয়ার্কটা করা হয়েছে?" মাথা নেড়ে জবাব দিলো অনুপ। কমলা বললেন, "কই শুনি তবে। "

 বাড়ি ফিরতে একদমই ইচ্ছে করলো না আজ অনুপের। কোথায় যেন একটা অশান্তি অনুভব করছে আজ বিকেল থেকে। প্রাকটিস করা গান গুলো একটাও আজ সুরে রাখতে পারেনি সে।  এদিকে অহংকারের চোটে হারানকে দুটো কথাও শুনিয়ে দিয়েছে সে হেসে ফেলেছিলো বলে। নাঃ! দুর্বলের ওপর চোটপাট করা এতো সহজ কেন? অন্যরাও তো হাসছিলো, মুখ টিপে। কই, তাদের তো সে একটা কথাও শোনালো না! মনটা এমনিই খারাপ ছিল, এখন একদম তলানিতে এসে ঠেকলো। সোনাঝুরির সন্ধ্যে সাতটার অন্ধকারে এসে অনুপ উপস্থিত হলো। জ্বালাতন। গুচ্ছের গাঁজারি চারিদিকে। ওদিকে আবার আধ-ফালি চাঁদও উঠে বসে আছে। যখন অন্ধকার চাই, তখনি যেন আলোর খ্যামটা নাচের শখ হয়।  অন্য সময় তার ঘুমই ভাঙতে চায় না! অনুপ একটু হতাশা নিয়েই যথাস্থানে এসে পৌঁছলো।

সাইকেলে যেমনি তালাটা দিয়েছে, অমনি দেখে সামনে এসে সে উপস্থিত। এই মানুষটাকে অনুপ কিছুতেই বুঝে ওঠে না। সে সোজা সামনের লোকটার কাছে পৌঁছে বললো,

"এই যে দাদু, আজ এতো আলোর মধ্যে চলে এলে যে!"
দাদু ভুঁরু কুঁচকে একবার অনুপকে দেখে বললো, "এতো আলো দেখছেন মহারাজ! ভেতরের অন্ধকারটা দেখেও দেখছিস না। তোর যে সাজ আমার চোখে পড়ছে!"
" মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে, বুঝলে ?"
"খারাপ হয়ে নেই। দুর্বল হয়ে আছে। অবল হলে তাও বল প্রার্থনা করতাম তোর জন্য।"
"তোমার গান গুলো সব বেসুরে বাজিয়েছি আজ। "
"সে তো হবেই।  না মন সুরে ছিল, না সুর মনে। "
"দ্যাখো চেষ্টা তো করছি, কিন্তু মাথায় শুধুই ঝিলিক ঘুরে যাচ্ছে। "
"উঃ, নেকু খোকা! মন না পাগল গরু?"
"নিজেই তো বারণ মানে না বলেছো! এখন আমি কি করি?"
"প্রথমত আমার 'নিশীথ রাতের বাদল ধারা' শোনা বন্ধ কর। "
"একি, কেন? ওটা শুনলে তো তোমায় মনে পড়ে। "
"যত জ্বালা হয়েছে আমার, বুঝলি? আমি তো এখানেই থাকি। আমায় ভেবে ওই গান শুনিস, এসব আমায় বোঝাতে আসিস না। "
"কেন প্রেমে পড়লাম বলো তো?"
"প্রেমে পড়েছিস তো কি হয়েছে? রক্তকরবীও তো পড়েছিস। "
"এই যে এক লাইনে সব বলে দিলে, এবার কি ভাবে সব বোঝা যাবে?"
"হ্যা সেটাও ঠিক। তুই তো সবই বুঝিস। তবে অন্যেরাও সব বোঝে। আমার কথা শোনার কারোর সময় কই আজ?"
"আমি তো শুনি। "
"তুই মূর্খ বলে। তোর মতো কিছু মূর্খরা আমায় নিয়েই দিন রাত পরে আছিস।  হ্যাঁ রে, জয় করেও তোর এতো ভয় কিসের বল তো?"
"ওমা, জয় করলাম মানে? সে তো পাত্তাও দেয় না।"
"আবার বাজে কথা?"
"আচ্ছা বেশ, পাত্তা দেয়। কিন্তু বুঝতেই তো পারছো কি বলতে চাইছি। "
"সে তো আমি বললামই। গোল গোল ঘুরে যাবি কোথায় আমার কথার বাইরে? আমায় লাঠি না করে খুঁটি করতে তোরা এতো ব্যস্ত কেন বলতো?"
"দাঁড়াও দাঁড়াও। রক্তকরবীর ব্যাপারটা এরম হাওয়ায় ছেড়ে দিলেই হবে নাকি?"
"ফাগুন তো না। আর রঞ্জন হওয়ার কোনো ইচ্ছেই তোর দেখি না। "
"আবার ওই রেফারেন্স দিচ্ছ! লোকজনকে পড়িয়েই ছাড়বে নাকি? পাব্লিসিটি করতে ভালোই উদগ্রীব তুমি। "
"বাজে কথা ছাড়। ভেবে বলতো, রঞ্জন ছাড়া সেই নাটকের কোন চরিত্র তোর আদৌ হওয়া বাকি আছে?"
"কোনোটাই নেই। কিন্তু এই চঞ্চলতা দূর করি কি করে সেটা বলো এবার।"
"সত্যর সাথে থাক। সত্য থাকতে তোর আর কি প্রয়োজন?"
"এটা কি হলো? এরম ট্রাম্প কার্ড খেলে নিজের ট্যালেন্ট শো-অফ করতেই হলো?"
"সত্যান্বেষীর কাছে আমার আর কি বলার থাকতে পারে এর পরে?"
"এটা ডবল-ডোস হয়ে গেলো না?"
"অনেক রাত হয়েছে, এবার আমায় ঘুমাতে হবে। আবার ভোর চারটের সময় রামকিঙ্কর একদম তোর মতো সমস্যা নিয়ে আসবে। টুক করে ঘুমিয়ে নি।  দাঁড়িটাও কাটতে হবে। দেখি উঠি এখন। "

"অদ্ভুত লোক। নিজে সব গুছিয়ে লিখলো সারা জীবন।  আর আমার বেলায় কায়দা করে লেখাটা মাঠে মেরে দেওয়ার চেষ্টা যত। "


Friday, May 17, 2019

প্রবাদ

জাত, ধৰ্ম, অহমিকা, সব কিছুর শেষ আছে
হয় তোমার সাথে শেষ হবে, অথবা বহু আগে ,
নয়ত তোমার মুছে যাওয়ার কোটি বছর পরে ;
সব কিছুর শেষ অবশ্যম্ভাবী।
শেষ হবে না শুধু এই শেষ হওয়ার খেলা
তাই তোমার সব খেলাই আদতে অহেতুক।

যতই খেলো, তোমার রূপ লোকাবে কোথায়?
জল তো হতে পারবে না, তুমি শুধুই বাষ্প
যে ঢাকতে চায় তোমায়, সে বোঝে তোমার চাপ
যারা বড্ডো জেদি, তাদের পুড়িয়েছো হাত
কিন্তু এই ঢাকনার সাথে নয় জিতলে, তারপর?
শুন্য গগনে শুকনো বরফ হয়েই থাকা  তোমার ভবিষ্যৎ।

তাই যাও, নিয়তির নিঃশ্বাসে মিশে যাও বরং
আমার জন্য প্রবাদ আছে, জল মানে জীবন।

Thursday, May 16, 2019

ধর্ম

কোথাও হয়তো সূর্য ডুবছে এখন,
ডুবতে চাইছে কিন্তু হতচ্ছাড়া পৃথিবী
আমন্ত্রণ দিয়ে বারবার ঘুরে যায়
সূর্যের অভিমান হয় বড়, "আমার
আলোয় যত রূপের ছটা, আর
আমায়ই নিতে চায় না! কিসের অহংকার?"
পৃথিবী সেসব ভাবে না, ঘোরাই তার ধর্ম
মিছে অহংকারেই রোজ সূর্য ডুবে যায়।

Wednesday, May 15, 2019

গন্ডগোল

কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে বিহারী বাবু,
ঘুম দুপুরে আসছে, খিদে দিনভর ঘুমোচ্ছে
কাজ সন্ধ্যের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে চাইছে,
(যদিও সন্ধ্যে নিজের খেয়ালে রাতকে আঁচ দিচ্ছে)
ওদিকে সকাল একা একা বিরহে কাতর!
সন্যাসী রাত কাজের অপেক্ষায় প্রায় পাগল,
যতই বোঝার চেষ্টা করছি, সব ঘেঁটে যাচ্ছে।
বিহারী বাবু, কোথাও বড় কিছু গন্ডগোল হচ্ছে।

Tuesday, May 14, 2019

ফেরা

পথ ? সে তো  তোমারই বোনা
মধ্যরাতে অন্য গগনের নায়করূপে
সব ভয়ের সীমানার অতীত হতে
খোলা চোখে নিঃশব্দ নিদ্রাবেশে
 আলোর পরশ হয়ে পরাজয়ের বুকে
আমারই শব্দে নিজের পূর্ণ সাজে
সবার মাঝে অন্ধকারে নেমে এসো,
যেমন প্রাচীন পুরীতে বৃষ্টি নামতো
ধুয়ে দিত রক্ত-পরিশ্রমের ক্ষুদ্রতম ছাপ
তেমনই এই শান্ত পুকুরপাড়ে নিজের প্রতিবিম্বে
নেমে এসো। অনেক দিন ডুবেছে শান্ত স্রোতে।
তুমি অনন্ত, কিন্তু আমি তো দিনের দ্বার-রক্ষী
কবিতা ফুরিয়ে এলো, এবার ফিরে এসো।

Monday, May 13, 2019

Yeah, tragic Bastard.

Jon Snow is a person who lives in eternal denial. He is a passionate human being and is thus drawn to strong women. Once he is loved by them, the guy gets robbed of the passion within. His fundamentals are the moral codes, with which he defines himself. Hence he latches onto these 'values' in order to distance himself from the amoral or unjust character he truly is deep down. The women who are drawn to him only fall for his innocent manipulative charm. There has hardly ever been a woman on this planet who has not understood when she is not loved by her lover.
Both Yygritte and Dany suffer the same fate. They both realize what tragedies they are! They can never undo the love that Jon ignites with his apparent foolish heroism and they know that once his love has eroded, it is only going to be a Ghost of its former self. Talk about Bittersweet!
No matter how much they want to call out the demon in him, he will find a saviour in humanity's moral codes.
Some hearts are so trapped in themselves, even five daggers through them are not enough to break the chains/ the wheel.
The greatness of writing/story telling lies in not stating the obvious but in hiding the obvious in a murky sight of fire, ash and snow.
  • Aemon Targareyan once said to our beloved dreamy-eyed Hero, "Kill the boy. Let the man be born."
This boy can never let that happen. He desparately wants to live a life without responsibility but his undoing is the same moral compass that he uses to his benefit in other matters (at least he thinks so). Thus he is the one true tragedy of this entire saga, a song of the fire he ignites only to douse it with walls/wails of ice.

No doubt the world loves him.
Thank you George. Thank you, you know why.

Saturday, May 11, 2019

ধারা

কি হবে, আরো একটা যুদ্ধ জিতে?
কাকে হারাবে তুমি? আর কাকে হারাবে?
মুক্তি তো সেই দুই চরণতলে, অন্তরালে
অন্ধকারে বিকশিত পাঁপড়ির মায়াডোরে
কি চাও, আরো একটা যুদ্ধ লড়ে?
যে ঝর্ণা বইছে তোমারই গভীরতরে
হে পুলকিত, বইতে দাও তারে,
বইতে দাও পাষানের মরম জুড়ে
বইতে দাও আজ, নয়নের নয়ন ভরে।

Wednesday, May 8, 2019

বর্ষা

আজ হঠাৎ মনে হল এখানে বর্ষা নামবে না
শুধুই মেঘ আসবে, যাবে; ঘন কৃষ্ণকালো
সব আঁধারের আশা জাগিয়ে চেনাবে মহাশূন্য
এক দু' ফোঁটা ছোঁয়া লেগেই বিদায়বেলা।
তাই আজ মনে হল, এখানে বর্ষা নামার নয়
ঝড়ের মত্ত হওয়ার অনাবিল অধিকার এখানে
পল্লবের ঝঙ্কারেও তার নৃত্যের অধিকার নেই।
বলতে বলতে আবার যে মেঘ সরে যায়,
কে জানতো, আলোও একদিন অতিথি হয়ে উঠবে?
আজ বুঝেছি এখানে বর্ষা নামার নয়
না আছে বিদ্যুৎ, না আছে গর্জন, নেই সময়ের ফাঁক
থাক, শুকনো ধারায় মুখচোরা আজ ঘরেই থাক।


Tuesday, May 7, 2019

খেলাঘর

খুলে আসছে, সব খুলে আসছে
কত শেকল বাঁধা হয়েছিল , কত শত প্রকারে
কিন্তু দ্যাখো, সব খুলে আসছে,
ফুলের মেলা দেখাবে ভেবেছিলো, হায় বসন্ত!
এক এক করে সব পাঁপড়ি খুলে আসছে
কুঁড়ির লজ্জা আজ মেনেছে হার, হেরেছে অহংকার
মাটির বুকে পাঁপড়ির আঘাত, শিশির ধূলিস্যাৎ।
খুলে আসছে ব্যাথার মুঠো, মুক্তি মর্মে মম
খুলে আসছে দ্যাখো সূর্যের ছটা, শশী সম।
আঁধার-অভ্যন্তরে হারিয়েছে কত মহা-তারকা,
শিশির কণায় প্রতিবিম্বিত অসীম সৃষ্টিকর্তা।
হে মহাকাল, তোমার বাঁধন শুধু তোমায় মানায়
কোন রূপে ভোলাও বলো গোলাপের প্রাণ ?

Friday, May 3, 2019

তুবড়ি

আমার অন্তর ভর্তি শব্দ, শুধু শব্দ
ঝড় নেই, ঝাপ্টা নেই, বজ্রপাত নেই
তাই শব্দের মেঘ গর্জন করলেও
বর্ষার মুক্তির অনুভূতি তাদের নেই
তাদের ব্যাথা শুধু জমতে শিখেছে 
স্তরের ওপর স্তর, ঘরের ভেতর ঘর
তাই শব্দ আছে, ধাক্কা আছে, যন্ত্রনা আছে
আর আছে একটা শরীর, সুখের মরশুমে
অনেক তুবড়ির মধ্যে, আগুনের আঁচ চেয়ে।

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...