গন্ডির ওই পারে এক ছেলে ছিল।
গন্ডিটা তাই সে দেখতোই উল্টো।
গোল গোল ঘুরেও বুঝতো না কোন অঙ্কের কাছে
গন্ডি আত্মসমর্পণ করে বসে আছে!
একদিন কি মনে হলো, সোজা গন্ডি অব্ধি হাঁটলো,
যা এতদিন ভাবেনি, এখন অন্য সব প্রশ্নকে ফিকে করে দিলো :
এই গন্ডি আছে কেন?
সত্যি তো! আছে কেন?
কোনো কিছুই কেন আছে? নাই থাকতে পারতো।
কি দিয়ে তৈরী, তা দিয়ে কি হবে? আছে কেন?
যা থেকেই এসে থাকুক, তাই বা কেন আছে?
এলো, গন্ডির এই পারে।
কি অসহ্য ঘিঞ্জি জায়গা!
গরমে ছটফট করতে করতে সে একজন কে জিজ্ঞেস করলো,
"আচ্ছা আপনি কোথা থেকে এলেন এখানে?"
হতবাকের মতো কিছুক্ষন চেয়ে থেকে অন্যজন বললো,
"আমার মতো তোমারও উত্তরাধিকার নেই। "
ছেলেটি একটু বিরক্ত হলো, একটু ঘাবড়েও গেল;
এদিক ওদিক অনেক ছোটাছুটির পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লো।
এপার থেকে তো গন্ডি অন্য রকম দেখতে!
কেমন অদ্ভুত অন্তর্মুখী সব কিছু এদিকে!
আর কিছুক্ষনেই সে গন্ডির অঙ্কও কোষে ফেললো!
কিন্তু একি! যতই গন্ডি থেকে বেরোবে ভাবে, গন্ডি যেন দূরে যেতে থাকে।
কি ঝামেলা! অঙ্কে ভুল তো মনে হয়নি।
পাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, "এরম কেন হচ্ছে?"
উত্তর এলো, "এরমই হয়। যা আছে, তা বাড়ছে।"
"কি উদ্ভট কথা! কোথায় বাড়ছে? আমি তো বাড়ছি না!"
"যা আছে, তা বাড়ছে। "
আবার ভুলে যাওয়া প্রশ্ন মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো,
"কি আছে? আর হ্যাঁ, কেন আছে?"
"কি আছে, জানিনা। তবে আমার মতো তোমারও উত্তরাধিকার নেই। "
এভাবে চলতে পারে না।
আর উত্তর চাই না। শুধু এই গন্ডি থেকে উদ্ধার চাই।
কোন দিকে যাবো! সব দিকই তো এক!
মাথা খারাপ হয়ে যায়নি তো?
এতো লোক কেন চারদিকে! আর একি, সবাই তো এক!
বের করো, বের করো আমায় এখান থেকে!
জাপ্টে ধরছে এই গন্ডি! না কমে, না বাড়ে, না এগোয়, না স্থির!
একি সত্যি, না মিথ্যে? যদি মিথ্যে হয় তো মিথ্যে আছে কেন?
আর সত্যিই বা কি? আছে কেন? আছে কেন যা আছে!
কি আছে? গন্ডির মধ্যেও কি ঘুরছি শেষে?
না না না! অসম্ভব! ভুল অঙ্ক নয়। ভুল ছিল প্রশ্ন।
এমন সময় হঠাৎ পাশের ছেলেটা প্রশ্ন করলো,
"প্রশ্ন আছে কেন? ওই গন্ডি কি তবে আসলে?"
আরও কিছু হয়তো সে বলতে চেয়েছিলো, কিন্তু
আমাদের কারোর কোনো উত্তরাধিকার নেই।
গন্ডিটা তাই সে দেখতোই উল্টো।
গোল গোল ঘুরেও বুঝতো না কোন অঙ্কের কাছে
গন্ডি আত্মসমর্পণ করে বসে আছে!
একদিন কি মনে হলো, সোজা গন্ডি অব্ধি হাঁটলো,
যা এতদিন ভাবেনি, এখন অন্য সব প্রশ্নকে ফিকে করে দিলো :
এই গন্ডি আছে কেন?
সত্যি তো! আছে কেন?
কোনো কিছুই কেন আছে? নাই থাকতে পারতো।
কি দিয়ে তৈরী, তা দিয়ে কি হবে? আছে কেন?
যা থেকেই এসে থাকুক, তাই বা কেন আছে?
এলো, গন্ডির এই পারে।
কি অসহ্য ঘিঞ্জি জায়গা!
গরমে ছটফট করতে করতে সে একজন কে জিজ্ঞেস করলো,
"আচ্ছা আপনি কোথা থেকে এলেন এখানে?"
হতবাকের মতো কিছুক্ষন চেয়ে থেকে অন্যজন বললো,
"আমার মতো তোমারও উত্তরাধিকার নেই। "
ছেলেটি একটু বিরক্ত হলো, একটু ঘাবড়েও গেল;
এদিক ওদিক অনেক ছোটাছুটির পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লো।
এপার থেকে তো গন্ডি অন্য রকম দেখতে!
কেমন অদ্ভুত অন্তর্মুখী সব কিছু এদিকে!
আর কিছুক্ষনেই সে গন্ডির অঙ্কও কোষে ফেললো!
কিন্তু একি! যতই গন্ডি থেকে বেরোবে ভাবে, গন্ডি যেন দূরে যেতে থাকে।
কি ঝামেলা! অঙ্কে ভুল তো মনে হয়নি।
পাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো, "এরম কেন হচ্ছে?"
উত্তর এলো, "এরমই হয়। যা আছে, তা বাড়ছে।"
"কি উদ্ভট কথা! কোথায় বাড়ছে? আমি তো বাড়ছি না!"
"যা আছে, তা বাড়ছে। "
আবার ভুলে যাওয়া প্রশ্ন মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো,
"কি আছে? আর হ্যাঁ, কেন আছে?"
"কি আছে, জানিনা। তবে আমার মতো তোমারও উত্তরাধিকার নেই। "
এভাবে চলতে পারে না।
আর উত্তর চাই না। শুধু এই গন্ডি থেকে উদ্ধার চাই।
কোন দিকে যাবো! সব দিকই তো এক!
মাথা খারাপ হয়ে যায়নি তো?
এতো লোক কেন চারদিকে! আর একি, সবাই তো এক!
বের করো, বের করো আমায় এখান থেকে!
জাপ্টে ধরছে এই গন্ডি! না কমে, না বাড়ে, না এগোয়, না স্থির!
একি সত্যি, না মিথ্যে? যদি মিথ্যে হয় তো মিথ্যে আছে কেন?
আর সত্যিই বা কি? আছে কেন? আছে কেন যা আছে!
কি আছে? গন্ডির মধ্যেও কি ঘুরছি শেষে?
না না না! অসম্ভব! ভুল অঙ্ক নয়। ভুল ছিল প্রশ্ন।
এমন সময় হঠাৎ পাশের ছেলেটা প্রশ্ন করলো,
"প্রশ্ন আছে কেন? ওই গন্ডি কি তবে আসলে?"
আরও কিছু হয়তো সে বলতে চেয়েছিলো, কিন্তু
আমাদের কারোর কোনো উত্তরাধিকার নেই।
No comments:
Post a Comment