Wednesday, November 28, 2018

জাতিস্মর

মাঝরাতে কুয়াশা দেখতে শহরেই ভালো লাগে
পুকুর পারে শহরের ছায়া কুয়াশায় মিলিয়ে যায়,
সেখানে কারোর আঙুলের ফাঁকে উঁকি দেওয়া আগুন
মনে হতে পারে প্রেতপুরীর অজ্ঞাত ঠিকানা,
কানের পাশে হাত বুলিয়ে যেতে পারে ঘাম
অদৃশ্য মাটির শেকড় জড়িয়ে ধরতে পারে পা;
হয়তো কিছুই নেই, নিঃস্তব্ধতা , এক ফালি চাঁদ
আর ফিরে আশা পাপের স্মৃতির প্রকান্ড জলযান।

কোনো সরীসৃপ তোমার রক্তে রাখবে নিজের বিষ
এক এক করে মুছে যাবে সঞ্চিত জীবনের হদিস
থাকবে না কোথাও চোখ, কোথাও পুড়বে শরীর
শ্মশানকোনে আলোকিত হবে ইতিহাসের কিছু মৃৎপ্রদীপ
কোনো মা বুকে আগলে ছুটবে সদ্যজাতা রাজকন্যা
দূর দিগন্তে নীল চোখ জ্বেলে উঠবে নেশাগ্রস্থ হায়েনা
গ্রহান্তর হবে নামের, বিশ্বাসের হবে পরাজয়
রক্ত দাগে অভিশপ্ত হবে পিতৃভূমির পরিচয় ।

যেখানে পোড়া মাংস ছিল সেদিন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়
কিন্তু নারী - পুরুষ দাঁড়িয়ে কালের সেই একই ঠিকানায়
ফিরিয়ে নিয়ে যায় কলম অশান্তির চাবুকের নির্মম ঘায়ে
যেখানে প্রতি ক্ষত শুধু আরও গভীর, প্রকৃতির তাড়নায়।
তাই নেমে আসি জাতিস্মর বারবার পৃথিবীর দোরগোড়ায়
নতুন কোনো ভুলের সন্ধানে , কোনো নতুন গল্পের সাধনায়
পাওয়া যায় শুধু কুয়াশায় ঢাকা শহরতলি , পিশাচপাড়ায়
আমারই গল্প ভাবি কেন যুগ-যুগান্তরে ভেসে বেড়ায়!

No comments:

Post a Comment

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...