Wednesday, September 26, 2018

বলী

আমার রাত কাটে না, কাটবেও না।
কাটে আমার শরীর;
তিল তিল করে জমানো আনন্দ
রক্ত হয়ে গড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু তার হিসাব নেই, থাকবেও না।
ফল, সবজি, বাবাজিরা
স্টেশন, শ্মশানে ভিড় করে আছে
যখন যেমন বলী চাও, পেয়ে যাবে।

Tuesday, September 25, 2018

যা সব বুঝি না

সবুজ কেন?
গাছের পাতার ব্যাপারটা বুঝি,
কিন্তু রাস্তার আলো?
সে তো চাইলে নীলও হতে পারতো।
গভীর কেন?
পথের গর্তের গল্পটা অনেকটা বুঝি,
কিন্তু অহংকার?
এতটাই গভীর যে নিজের উৎসকে গিলে ফেলে।
দূর কেন?
সূর্যের কারণটা হয়তো বুঝি,
কিন্তু তুমি?
দুজনেই তো চেয়েছিলাম কাছাকাছি থাকতে।
বাজে কেন?
আমার এই কবিতার কথাটা থাকুক,
কিন্তু তোমার মূল্যবোধ?
যা নেই, তাকে ভালো বাজে বলে কি হবে!

Monday, September 24, 2018

"Physics is fun"

Ten years plus one
Yet answers for none
Life's twists and turns
But Physics is fun.

Few planets and a Sun,
Few degrees to burn
A tortoise on a run
But Physics is fun.

Three girlfriends or a gun
Two squirrels and a pun
Bit of Physics for some fun
A headshot and you're done.

Sunday, September 23, 2018

রূপকথা

চোখে জলের ছলছলানির ছলা,
মুখ জুড়ে তার আপ্পায়ণের হাসি,
ছলছল স্রোতে ভাসিয়ে আমার ভ্যালা,
সাঁতরে সাগর তোমার কাছেই আসি।
নাকটা যেন অহংকারের পাহাড়
ঠোঁট দুটিতে বৃষ্টি নামবে ভারী
মেঘ করেছে আলসে বুকের ভেতর
তিল বলছে, "আমিই তো সুন্দরী।"

চিচিংফাঁকে হঠাৎ দেখার পালা
আলী, কাসিম, হাওড়া, ডাকাতরানী;
আমার ভেতর অজস্র রূপকথা,
আরব, আতুর, সম্মোহনের পরি; 
                  ওগো, তুমিই তো সুন্দরী।
                   শুধু তুমিই তো সুন্দরী।।

Thursday, September 20, 2018

The Place

A place,
Where butterflies live on butter,
Where books survive open shutters;
Where music falls into poems,
Where meanings reveal themselves;
Where eyes sing melodious tunes
Where lovers don't go to sleep too soon;
Where mornings dwell on yesternights,
Where every soul dives and takes flight;
Where single sheets tie themselves up
Where untie and unite blend into a syrup;
Where a new song touches you ever so gently,
Where stags are allowed uncompromising entry;
Where a tide of the visiting west wind
Fills you with yourself, blows away the ruins -

May be that's where I will see you.

Singing to yourself.

Sunday, September 16, 2018

সায়াহ্ন

সায়াহ্ন ঝরিয়া পড়িতেছে,
তাহার অঙ্গ, নিটল পরিপূর্ণ সেই দেহ
যাহাকে কেন্দ্র করিয়া সহস্র অসিবর্ষণ করিয়াছিলাম
নিজের যৌবনের উপর,
সে অগ্নিতপ্ত মাদকমিশ্রিত রত্নাভার;
আজ আমারই অগ্রে উপস্থিত, ভগ্ন অট্টালিকা
মূক অনাড়ম্বরে সায়াহ্ন ঢালিয়া চলিয়াছে।
যে কেশের নাগপাশে বিদ্ধ হইতে উদ্যত হইয়াছিলাম,
আজ যেন ক্ষরায় দগ্ধ মরুভূমির আত্মশ্লাঘা সেখানে;
স্বচ্ছ রক্তিম কিরণে বাঁধিতে চাহিয়াছিলাম, হে নারী -
আর আজ কোন রক্তাধর লুটাইয়া আছে শ্মশানে!

Saturday, September 15, 2018

জল

নদীর এপার, ওপার খাদের হিসেব ভিন্ন
কিন্তু জল সে হিসেব মানবে কেন?
বাষ্পেরও কথা সে স্মরণে রাখে না,
শ্রোতশীলা, নবীনা; প্রবীণ বুকে তার না জমাই ভালো।


চালা ঘর

একটা চালা ঘরে আমার জন্ম;
চোখ খুলে দেখেছিলাম মা, বাবা আর দুই দিদি কে
বাবা খুব কমই ঘরে আসতেন, বড়দিও উড়নচন্ডী
মা কেই দেখতাম খাবার জোগাড় করে আনতে;
আমার বড় হওয়ার সাথী ছিল ছোড়দি -
দুজনে এক সাথে কত পাড়াই না দাপিয়ে বেড়িয়েছি,
সাপ, ব্যাঙ যা পেয়েছি ধরেছি,
আবার কুকুর বেড়ালের ভয়ে বহুবার পালিয়েছি!
একদিন আমার উড়নচন্ডী বড়দি উড়েই গেল, জানো?
সন্ধ্যে বেলা মা কে কাঁদতে দেখে আমরা তো অবাক
দুই ভাই বোন দিদিকে খুঁজতে গিয়ে দেখলাম
সে গাড়ি চাপা পড়েছে।

বাবা কে অনেক দিনই দেখিনি, তখনও না
মাও হঠাৎ একদিন পাশের বাড়ির বাগান থেকে ফিরলো না।

তা থেকে আমার আর ছোড়দির এই চালা ঘর,
ভালোই চলছিল; একদিন হুড়মুড়িয়ে ঘরটা ভেঙে পড়লো।
আমাদের আর সামর্থ কৈ যে বাড়ি বানাবো,
তাই ওখানেই ঠিক ব্যবস্থা করে থাকতাম।

কিন্তু...

কদিন পর কিছু মানুষ আসল, হাতে বড় বড় যন্ত্র
সেটা দিয়ে মেরে মেরে এই ঘর ফাঁকা করে দিলো
থাকলো শুধু বাইরের দেওয়াল, আর নিচের মাটি
আমরা কিন্তু আর থাকলাম না।

মানুষের বাড়ি মানুষ ভাঙবে,
দুটো বেজি কোথায় গেল, তা নিয়ে কে আর ভাবে?

Thursday, September 13, 2018

Dear Me

Dear Me,
Why are you so far away?
Why do you wander aside?
Why do you murmur inside?
Why are you so empty in entirety?

Dear Me,
Where do you seek your solace?
Why are you so bothered by silence?
Where has your lover hidden?
Where has your script lost its way?

Dear Me,
Oh dear! dear me!
There are flowers everywhere
You, my friend, have become an adrift bee.

Sunday, September 9, 2018

প্রেম

প্রেম বড় বিষম বস্তু
বুদ্ধিকোষ শূন্য হলে, এ পথ মারিও না
গোলাপের দেখবে কাঁটা, সর্ষের দেখবে ফুল
সে তুমি যতই হও না কেন ডুডের মত cool!
দিন রাত কেটে যাবে, বিছানা যাবে ভিজে
Ba ba black sheep, have you any wool?
উলু উলু করে শেষে খাবে বলতার হুল -
বাছা খোকা কালো ভেড়া, করো না সে ভুল।

রাজা

মাঝরাতে স্বপ্নে পুরোনো প্রাসাদ ঝলকানি দিলো
সেই প্রাসাদের সমস্ত কক্ষ, বাতায়ন খুব স্পষ্ট
হয়ে মুদিত নেত্রের আড়ালে খেলে গেল;
সেখানে আমি ছিলাম রাজা,
সেই প্রাসাদের প্রত্যেক কোন, প্রত্যেক পালঙ্ক,
প্রত্যেক আয়না, স্নানাগার, গর্বগৃহ আমার!
আমিই তার একছত্র নায়ক, আমিই তার স্বামী।

চোখ খুলতে খেয়াল হলো
স্বেচ্ছায় সে সাম্রাজ্য ত্যাগ করে এসেছি
মনিকাঞ্চন, জহরত, স্ফুলিঙ্গ
কিছু দিয়েই ধরে রাখতে পারেনি আমায়।

আমায় সন্যাসী ভেবে ভুল করো না।
আমি রাজা। যেমন স্বপ্নে ছিলাম;
সময়ের যেমন বাঁক নেই, তেমনই
ঠিক সেই সূত্রে এ সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব আমার।

Friday, September 7, 2018

ভোর

সব টুকরো টুকরো হয়ে ঝোরে পড়েছিল -
ইচ্ছে, বিশ্বাস, জেদ, সাহস;
ভাঙা-চোরার উঠোন-সমান বুকে
অপরাহ্নে নূপুর হয়ে বেজে উঠতো
আর করতালি শোনা যেত ধু ধু করা বাক-শূন্যতার শ্মশানে।

তারপর কত নর, নারী,
প্রেত, অশরীরী ভিড় জমালো;
দিনের আলো যেন হয়ে উঠলো বিভীষিকা-
রাতের আঁধার হলো একা থাকার অট্টহাস্য,
সত্যি, মিথ্যে মিলে মিশে গোধূলির মরিচিকার
ধুলো ঢেলে কখন রাত্রি নামালো জানা যায়নি।

ঠিক সেই আঁধারেই তুমি এলে
না কোনো খড়্গ, না কোনো শাঁখের ধ্বনী
রাতের তারারা, যারা এতদিন আলোর অন্ধকারে
লুকিয়ে ছিল, সবাই হেসে উঠলো তোমায় ঘিরে;
আজ নতুন ভোর হবে হবে করছে
কিন্তু আমার সেই নেশা কে জানে কবে কেটে গেছে।

ভালোবাসা, তোমার অচৈতন্যে আমায় চৈতন্য দান।

Thursday, September 6, 2018

মহাশূন্য

শূন্য কি?
আঁধার কি?
আলোর নবাবদারি থেকে মুক্ত হয়ে
মহাশূন্য পাণে চাইলে
হঠাৎই সব তারা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
একটা একটা করে
মাঝারি থেকে ক্ষীণতম অগ্নিও
নিজের অস্তিত্ব জানাতে চায়,
অপেক্ষারত তারা, সেই দৃষ্টির আশায় -
যে দৃষ্টি মহাশূন্যকে শূন্য দেখে না;
আলোর দাপটে যখন বাস্তব অন্ধ হয়ে ওঠে,
সে দৃষ্টি অন্ধকারেই আলো খুঁজে পায়।

বহুকাল ধরে তাই সেসব তারা-রা জ্বলতে থাকে
একদিন, ঠিক একদিন
সেই দৃষ্টির সাথে মিলনের দুঃসাহসী কামনায় ।।

Tuesday, September 4, 2018

অষ্টম সর্গ; কণ্টক-গুল্ম

উৎসর্গ : শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহাকবি কালিদাস কে
উৎসর্গ : আমার 'সপ্তম সর্গ'-কে

রমণী, যে করুণাস্রোতে আমার কবিতার প্রতিপদ
পিছিল করে রেখেছিলে,
সে ধারা এত নিষ্ঠুর হলো কবে?
আর কবেই বা সে পথ এত বন্ধুর হয়ে উঠলো?
কেন নিজের সহজাত মসৃণতায় কুঠারাঘাত করলে?
কেন প্রশ্ন জুড়ে দিলে আগামীর সমস্ত সর্গে ?

আজ কোথায় গেল তোমার রামধনুর টংকার?
সব রং নাকি সাদা কালো নয়, সাত রঙে মোড়া!
কি ভেবে বলেছিলে সেদিন মধ্য গগনে চেয়ে,
তোমার সময় নাকি আদি অনন্ত সন্ধ্যা তারায় গরা ?

যেদিন সমাজ পুষ্পবর্ষায় সিক্ত করলো আমায়,
সেদিন ভাবনি,
আমার অন্তর্লোক আলোকিত কোন প্রদীপ শিখায়?
তবে আজ তোমার এই তুচ্ছ হিংসা কোন অভিপ্রায়ে?

রমণী, প্রেম বলতে নিজের অশ্রুই দেখতে পেয়েছো শুধু
কোমল ঠোঁটের স্বরলিপিতেই ফুল ঢালবে প্রেমের মধু।

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...