একটা চালা ঘরে আমার জন্ম;
চোখ খুলে দেখেছিলাম মা, বাবা আর দুই দিদি কে
বাবা খুব কমই ঘরে আসতেন, বড়দিও উড়নচন্ডী
মা কেই দেখতাম খাবার জোগাড় করে আনতে;
আমার বড় হওয়ার সাথী ছিল ছোড়দি -
দুজনে এক সাথে কত পাড়াই না দাপিয়ে বেড়িয়েছি,
সাপ, ব্যাঙ যা পেয়েছি ধরেছি,
আবার কুকুর বেড়ালের ভয়ে বহুবার পালিয়েছি!
একদিন আমার উড়নচন্ডী বড়দি উড়েই গেল, জানো?
সন্ধ্যে বেলা মা কে কাঁদতে দেখে আমরা তো অবাক
দুই ভাই বোন দিদিকে খুঁজতে গিয়ে দেখলাম
সে গাড়ি চাপা পড়েছে।
বাবা কে অনেক দিনই দেখিনি, তখনও না
মাও হঠাৎ একদিন পাশের বাড়ির বাগান থেকে ফিরলো না।
তা থেকে আমার আর ছোড়দির এই চালা ঘর,
ভালোই চলছিল; একদিন হুড়মুড়িয়ে ঘরটা ভেঙে পড়লো।
আমাদের আর সামর্থ কৈ যে বাড়ি বানাবো,
তাই ওখানেই ঠিক ব্যবস্থা করে থাকতাম।
কিন্তু...
কদিন পর কিছু মানুষ আসল, হাতে বড় বড় যন্ত্র
সেটা দিয়ে মেরে মেরে এই ঘর ফাঁকা করে দিলো
থাকলো শুধু বাইরের দেওয়াল, আর নিচের মাটি
আমরা কিন্তু আর থাকলাম না।
মানুষের বাড়ি মানুষ ভাঙবে,
দুটো বেজি কোথায় গেল, তা নিয়ে কে আর ভাবে?