এখন পুরোনো কথা ভাবলে নিজেকে বুড়ো মনে হওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। বেশি পুরোনো দিন না, এই বছর ১০ ধরা যায়। থাকতাম মধ্য কলকাতার একটি চার-তলা বাড়িতে। সেই ঘরে বসে বসেই প্রেমে পড়তাম। এরম প্রেমিকদের সাধারণত প্রেমিকা থাকে না। আমার আবার সেই দুর্ভাগ্য হয়নি। তার থেকে অনেক বড় দুর্ভাগ্য হয়েছে কি না, তাও ঠিক বলতে পারবো না। সেসব নিয়ে এখন তোমার সময় নষ্ট করছি না। মজার কথাই আলোচনা করা যাক।
যা বলছিলাম, সেই চার-তলা বাড়ির ঘরটা নেহাত ছোট ছিল না। হয়তো সেই জন্য মনটাও অবাধ স্বাধীনতা পেয়েছিলো। ঘরে একটা রেডিও ছিল সেই সময়। সেখানেই অঞ্জন দত্ত, রূপম ইসলামের সাথে আলাপ। বাপরে ! তখন রূপম সত্যিই "অন দ্য রক্স "। তখন আমি পড়ি কলকাতার এক বিখ্যাত কলেজে (না না, অতটাও বিখ্যাত নয়, বরং নাক উঁচু)। পড়াশোনার চাপ ভালোই ছিল হয়তো, কিন্তু আমি কি করে এতো ফাঁকি দিতাম এখনো ঠিক বুঝতে পারিনা। আসলে মাথাটা চিরকালই ভাবনার চাপে জর্জরিত ! পরীক্ষা এলেই পড়তাম বটে, কিন্তু মগজ বেচারা কখনোই শান্তি পেলো না আমার কাছ থেকে।
বুঝতেই পারছো, না পড়েও যদি ভাবনা থাকে, সে ভাবনা কিসের হতে পারে। আসলে আমি যেমন দুমদাম প্রেমে পড়তে সক্ষম ছিলাম, আমার মতো না হলে তুমি ঠিক বুঝবে না বোধয়। একদিকে রবীন্দ্রনাথের কাতুকুতুর জন্য প্রেম ঘন হচ্ছে প্রেমিকার সাথে, অন্য দিকে কেউ হাতে হাত রাখছে, তো কেউ বুকে। এমন সময় যদি চন্দ্রবিন্দু জীবনে ঢোকে, সে জীবনে "ঘুম ঘুম ক্লাসরুম, পাশে খোলা জানলা" হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
এখানে আমার প্রেম কাহিনী খুঁজলে তা পাবে না। আমায় নিয়ে অনেক রসদ বাজারে ঘুরে বেড়ায়, অত মুখরোচক চানাচুর আমি তৈরী করতে পারবো না। এখানে চন্দ্রবিন্দু পাবে। আমার মন-এর আয়নায় লেগে থাকা কিছু টিপ্-এর
আবছা ছবি আছে এই অ্যালবামে।
তখন মীর আর দীপের গলা আমি আলাদা করে চিনতে পারতাম না। একদিন সন্ধ্যে বেলা দীপ জানালো, পরের গানটা আর্জির তালিকার টপার : " উঠে যাওয়া সিঁড়ি "
আজ বছর ১০ পরে সুদূর প্যারিস-এ বসে এই মধ্যরাতে কলকাতার সেই ঘরে অবলীলায় ফিরে গেছি। রেডিওটা থাকতো একটা ছোট্ট টুলের ওপর, কাঠের টুল; কোন কাঠ আমি জানিনা। গোল মাথা, প্যাঁচানো শরীর। আর তার ওপর থেকে ভেসে আসছে, "আমার আগুন ভয় ভীষণ, ন্যালাখ্যাপা এই জীবন। "
আজ জীবনকে প্রশ্ন করি না, কারণ "এ তো আখছার ঘটে, সাদা কালো লং শটে; খালি পায়ে কেউ বাড়ি ফেরে বৃষ্টিতে ভিজে। "
চাওয়া পাওয়ার ১০ বছর চলে গেল। উফ! দেখেছো তো! এই জন্যই আজকাল পুরোনো দিন নিয়ে ভাবতে চাই না। বুড়ো হয়ে গেছি, রোজ প্রেমে পড়ি না, চুলও জীবনের মতো দিন দিন সাদা হয়ে চলেছে। চন্দ্রের বিন্দু বয়সের সাথে বড় হয়ে উঠছে।
আর "আমার মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেম" ? থাক, এখন ল্যাপটপে অন্য কিছু বাজছে।
সত্যি, "এভাবেও ফিরে আসা যায়। "
যা বলছিলাম, সেই চার-তলা বাড়ির ঘরটা নেহাত ছোট ছিল না। হয়তো সেই জন্য মনটাও অবাধ স্বাধীনতা পেয়েছিলো। ঘরে একটা রেডিও ছিল সেই সময়। সেখানেই অঞ্জন দত্ত, রূপম ইসলামের সাথে আলাপ। বাপরে ! তখন রূপম সত্যিই "অন দ্য রক্স "। তখন আমি পড়ি কলকাতার এক বিখ্যাত কলেজে (না না, অতটাও বিখ্যাত নয়, বরং নাক উঁচু)। পড়াশোনার চাপ ভালোই ছিল হয়তো, কিন্তু আমি কি করে এতো ফাঁকি দিতাম এখনো ঠিক বুঝতে পারিনা। আসলে মাথাটা চিরকালই ভাবনার চাপে জর্জরিত ! পরীক্ষা এলেই পড়তাম বটে, কিন্তু মগজ বেচারা কখনোই শান্তি পেলো না আমার কাছ থেকে।
বুঝতেই পারছো, না পড়েও যদি ভাবনা থাকে, সে ভাবনা কিসের হতে পারে। আসলে আমি যেমন দুমদাম প্রেমে পড়তে সক্ষম ছিলাম, আমার মতো না হলে তুমি ঠিক বুঝবে না বোধয়। একদিকে রবীন্দ্রনাথের কাতুকুতুর জন্য প্রেম ঘন হচ্ছে প্রেমিকার সাথে, অন্য দিকে কেউ হাতে হাত রাখছে, তো কেউ বুকে। এমন সময় যদি চন্দ্রবিন্দু জীবনে ঢোকে, সে জীবনে "ঘুম ঘুম ক্লাসরুম, পাশে খোলা জানলা" হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
এখানে আমার প্রেম কাহিনী খুঁজলে তা পাবে না। আমায় নিয়ে অনেক রসদ বাজারে ঘুরে বেড়ায়, অত মুখরোচক চানাচুর আমি তৈরী করতে পারবো না। এখানে চন্দ্রবিন্দু পাবে। আমার মন-এর আয়নায় লেগে থাকা কিছু টিপ্-এর
আবছা ছবি আছে এই অ্যালবামে।
তখন মীর আর দীপের গলা আমি আলাদা করে চিনতে পারতাম না। একদিন সন্ধ্যে বেলা দীপ জানালো, পরের গানটা আর্জির তালিকার টপার : " উঠে যাওয়া সিঁড়ি "
আজ বছর ১০ পরে সুদূর প্যারিস-এ বসে এই মধ্যরাতে কলকাতার সেই ঘরে অবলীলায় ফিরে গেছি। রেডিওটা থাকতো একটা ছোট্ট টুলের ওপর, কাঠের টুল; কোন কাঠ আমি জানিনা। গোল মাথা, প্যাঁচানো শরীর। আর তার ওপর থেকে ভেসে আসছে, "আমার আগুন ভয় ভীষণ, ন্যালাখ্যাপা এই জীবন। "
আজ জীবনকে প্রশ্ন করি না, কারণ "এ তো আখছার ঘটে, সাদা কালো লং শটে; খালি পায়ে কেউ বাড়ি ফেরে বৃষ্টিতে ভিজে। "
চাওয়া পাওয়ার ১০ বছর চলে গেল। উফ! দেখেছো তো! এই জন্যই আজকাল পুরোনো দিন নিয়ে ভাবতে চাই না। বুড়ো হয়ে গেছি, রোজ প্রেমে পড়ি না, চুলও জীবনের মতো দিন দিন সাদা হয়ে চলেছে। চন্দ্রের বিন্দু বয়সের সাথে বড় হয়ে উঠছে।
আর "আমার মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেম" ? থাক, এখন ল্যাপটপে অন্য কিছু বাজছে।
সত্যি, "এভাবেও ফিরে আসা যায়। "
No comments:
Post a Comment