আলো কি আসলে?
মানুষের দৃষ্টির সীমা মাত্র;
যা মানুষ দেখে না, তাই তার কাছে আঁধার।
এই মহাবিশ্ব এসেছে আঁধার থেকে
হঠাৎ নিজেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গে একদিন
আলোর গঙ্গাজল ছিটিয়ে;
কেন এত আলোর প্রতি তবু মানুষের আশাহীনতা?
মহাবিশ্বের জন্মলগ্ন তোমারও জীবনের শুরু
কিন্তু সেই লগ্ন তুমি চিনলে কি করে?
তুমি বলার কে, সময়ের ইতিহাস?
তোমার জম্মের লক্ষজনম আগে
যেমন তোমার জন্ম শুরু হয়েছে
এই মহাবিশ্বেরও ইতিহাস কি তাই নয়?
ভেবে দ্যাখো তো, ইতিহাসের জন্ম কোথায়!
বেশী ভাবলে দেখবে সব গুলিয়ে যায়।
যা জানো, যা জানো না,
একে অপরের ঘর বদলায়।
তখন হাতের কাছে থাকে একটি কলম,
ঠোঁটের কাছে মহাজগতের অন্ধকারের ছায়া
আর মস্তিষ্কে ভিড় করে অশরীরী উন্মাদ হাওয়া।
কিছুই মেলে না,
যেন কিছুই মেলার ছিল না।
কোন পদার্থবিজ্ঞানের তুমি পিছু নিয়েছ ?
উত্তর তো সব কিছুর আছে, অথচ
সেই উত্তরই যেন বলছে, কিছুই নেই;
যা আছে তাও নেই;
তোমার সাধের ধন; ভাবো!
সময় সমস্ত অধিকার করেও অবিকার থেকে যাবে।
পুনশ্চ : কখনো ভেবে দেখেছো, আলো ফুটে ওঠা মানে সময় নতুন কোনো অন্ধকারকে গ্রাস করা মাত্র? এই ভক্ষণের কি আদি, কি অন্ত?
অনন্ত।
অনন্ত।
No comments:
Post a Comment