Thursday, August 30, 2018

বোমা

বুক ফুলিয়ে পেট দুলিয়ে এসছে খবর তাজারে
মানুষ খেকো হরবোলা এক বোম নেমেছে বাজারে;
সে বোমের নাকি মগজ ঠাসা বারুদভরা মেজাজে
ফাটলে বুঝি কুড়ি কিলোহার্টজ টপকে যাবে সহজে!
সংবাদে তার জয় নিশ্চিৎ, একলাই সে রাজারে
এক তালিতেই ভাগাবে সে সব শালাকে ভাগাড়ে।
পারলে রাজা মালার চূড়া তৈরী করে তার গলাতে
বোম বেচারা কুঁকড়ে থাকে নিজের ভেতর ভয়েতে।।

কি বললে?
কে ভয় পেলো? বোম?
ঠাট্টা করছো? কবিতার নামে রসিকতা?
লেখার নামে টাইমপাস-এর যত বেকার কায়দা!

কি আর বলি!
ছন্দ গেছি ভুলে, খিস্তি খেয়ে
তবে বোম ভয় পাবে না বলছো?
হতে পারে, আমি ঠিক জানিনা।
মনে হলো,
বোম নিজেকে খুবই ভালোবাসে ,
ঠিক যেন অপরূপা হিল্লোলিনী নারী
যে বারবার আয়নায় ফিরে চায়
আর মুগ্ধ হয়, নিজের রূপের শোভায় ;
কি অসীম তেজ লুকিয়ে আছে তার ভেতর
চাইলে যেকোনো কৃষক, শিক্ষক, রাজক
যেকোনো কাউকেই সে ছিন্নভিন্ন করতে পারে,
কিন্তু সেই নারীর তো সে চাহিদা নেই,
সে তো শুধু চায় সেবা, যে সেবার শেষ নেই
যে সেবা তার রূপ, তার তেজ, প্রতিপদে পূজ্যের আসনে বসায়
 সেই সেবারই সে প্রার্থী, পরিবর্তে নিজের সমস্ত শক্তি ভক্তের পায়ে লুটিয়ে দিতে চায়।
সে নারী লুন্ঠিত হতে চায় কি?
কোনো নরাধমের হাতে নিজের অর্জিত রূপকে ক্ষতবিক্ষত দেখতে চায় কি?

আমি জানিনা।

কিন্তু প্রশ্ন করি, তাহলে বোমাও বা কেন চাইবে?

বোমা কি শক্তির আরেক রূপ নয় মাত্র?
বোমার মধ্যে চাইলেই তো মা দেখতে পাওয়া যায়।

যায় না?
আমি জানিনা।

No comments:

Post a Comment

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...