আমার সব স্মৃতিকেই হয়তো ইরানী বলা হবে কদিন পর; এক এক করে হেডলাইন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বামুনের ছেলে হলেও প্রেসিডেন্সির তথা জে-এন-ইউ-এর মুখুজ্জে নই, তাই অহেতুক pun করা আমার অভ্যেস নয়। সত্যি বলতে, আমার স্মৃতি-স্মরণে কিছু ইরানী মিশ্রীর-ও এক-দু দানা পাওয়া যেতে পারে - সেসব আমার নিন্দুকদের হাতে নাই বা তুলে দিলাম।
আপনার যদি পড়াশোনার হ্যাবিট থেকে থাকে, তাহলে এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে title-টা লেখার জন্যই এত কিছু লিখতে চলেছি। কিন্তু ভেবে দেখলে, ব্যাপারটা বেশ মজার! আপনারা আমার whatsapp status-এ ইংলিশ-এ লেখা দুটো শব্দ দেখে কি ভাববেন আমি ভালোই জানি; আমার মাথায় শুধু হলুদ আসছে, গেরুয়া না। অদ্ভুত। আপনি কোন রং দেখতে পাচ্ছেন ?
এবার আমার স্মৃতি-তে ফেরা যাক। আচ্ছা, যদি আমার কোন বান্ধবীর নাম স্মৃতি হত, তাহলে কি আমি আদৌ এই লেখাটার জন্য সাহস সঞ্চয় করতে পারতাম?
কি ভাবছেন? আপনি তো জানেন না, আদৌ কেউ আছে কিনা; ধরে নিন কিছু একটা। (এমনিও আমায় যথেষ্ট ভালো না বাসলে বা অপছন্দ না করলে, আপনি পড়ছেন না এখন আর । আপনার ব্যস্ততা না বুঝলে কি আর আপনার সময়ে ভাগ চাই !)
স্মৃতির সাথে আমার কবে পরিচয় বলতে পারবো না। বলতে পারবো না তার পরীক্ষা দিতে ভালো লাগতো কিনা, একা থাকতে ভালো লাগে কিনা। হয়তো লাগে, না হলে আস্তে আস্তে এভাবে আমার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিল কেন ?
অবশ্য তার সাথে আর্গুমেন্ট-এ আমি পারবো না; সে বলবে আমিই সামনে তাকিয়েছি তাই এই বিচ্ছেদ। হতে পারে, আর যাই হোক, স্মৃতিকে কিছুতেই সামনে নিয়ে যাওয়া যায় না। আপনি পারবেন? স্মৃতি পেছনেই থাকতে চায়, হয়তো, সেখানেই তার শান্তি; সবাই আনন্দ নিয়ে obsessed নয়।
স্মৃতির চোখ, নাক, ঠোঁটের বর্ণনা দেওয়া খুব একটা সহজ নয়, ভেবে নিন ওই একটা গন্ধের মতো : উগ্র না, মিষ্টিও না, ঠিক খারাপও না; বুঝতে পারছেন? মানে, ওই sweet স্পট-টা : যে গন্ধে মুগ্ধতা নেই, আছে melancholy-র আনন্দের স্বাদ। যদি পেয়ে থাকেন, আপনিও না হয় একটু স্মৃতিচারণ করে নিন।
আরে করে নিন, করে নিন। আপনার স্মৃতি lactogen-এ দুধ রুটি, নাকি রুপোর বাটিতে cerelac-এর আদর, আপনিই বুঝবেন। ও, এগুলো তো আমার স্মৃতি। আপনার মনে আছে cerelac-এর স্বাদ বা lactogen-এর টেবিল-টপ experiment ? আমার বুঝি তখনও ১২ বছর বয়স হয়নি। ২৪-এ যদিও বিছানায় শুয়ে cerelac খেয়েছিলাম এক মাস; তারপর বলা যায় mutual ছাড়াছাড়ি।
স্মৃতি এখন মহিলা সমিতির দায়িত্বে আছে। নিজের কাজ যে সে ভালোই করছে তাতে এখন আমার সন্দেহ নেই। ন্যাড়া হেডলাইনে বাকি থাকা দুটো চুল চকচকানো স্মৃতির উদ্দেশ্য নয়; গভীরতা তার প্রেম; থাক! হারানো তো আসলে হারানো নয়।
আপনি হায়দ্রাবাদের ইরানী চা খেয়েছেন? শুনুন, কলকাতার নির্মল দার দোকানে যেটা পান, তাতেই মনে করবেন না যে চা-বিশারদ আপনি। সারাদিন ফোটালেই ভালো চা হয়না। আর না হলেই আদা দিয়ে দেবেন, সেটাও দয়া করে ভাববেন না। এখানে চা-এর কথা হচ্ছে, ছোলার ডালের না।
আলাদা করে জলে চা ফুটিয়ে নিতে হয়। তারপর শুদ্ধ দুধ জ্বাল দেওয়া, আলতো আঁচে; এর সাথে মোম দিয়ে নিজের ধৈর্য গলাতে হবে, আর দুধে মিশিয়ে দিতে হবে। ঘন করুন, আরও ঘন। ওসব ডেমি-ক্রিম femi-ক্রিম দিয়ে এই চা তৈরি হয়না। মোম শেষ হলে মাওয়া যোগ করুন দুধে; ঘন হতে দিন।
এবার সমান পরিমানে চা-এ এই ঘনত্ব মেশানো সূক্ষ আদরের কাজ।
চুমুক দিন। স্মৃতি ইরানী।
এখনও যদি আগে যা মনে এসেছিল সেই চিত্রই ফেরৎ আসে, তাহলে বলে রাখি, lactogen, cerelac, নির্মল দার পাড়ার দোকান হোক, বা হায়দ্রাবাদি দম চা; দুধ না খেলে, আপনার হবে না।
আপনার যদি পড়াশোনার হ্যাবিট থেকে থাকে, তাহলে এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে title-টা লেখার জন্যই এত কিছু লিখতে চলেছি। কিন্তু ভেবে দেখলে, ব্যাপারটা বেশ মজার! আপনারা আমার whatsapp status-এ ইংলিশ-এ লেখা দুটো শব্দ দেখে কি ভাববেন আমি ভালোই জানি; আমার মাথায় শুধু হলুদ আসছে, গেরুয়া না। অদ্ভুত। আপনি কোন রং দেখতে পাচ্ছেন ?
এবার আমার স্মৃতি-তে ফেরা যাক। আচ্ছা, যদি আমার কোন বান্ধবীর নাম স্মৃতি হত, তাহলে কি আমি আদৌ এই লেখাটার জন্য সাহস সঞ্চয় করতে পারতাম?
কি ভাবছেন? আপনি তো জানেন না, আদৌ কেউ আছে কিনা; ধরে নিন কিছু একটা। (এমনিও আমায় যথেষ্ট ভালো না বাসলে বা অপছন্দ না করলে, আপনি পড়ছেন না এখন আর । আপনার ব্যস্ততা না বুঝলে কি আর আপনার সময়ে ভাগ চাই !)
স্মৃতির সাথে আমার কবে পরিচয় বলতে পারবো না। বলতে পারবো না তার পরীক্ষা দিতে ভালো লাগতো কিনা, একা থাকতে ভালো লাগে কিনা। হয়তো লাগে, না হলে আস্তে আস্তে এভাবে আমার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিল কেন ?
অবশ্য তার সাথে আর্গুমেন্ট-এ আমি পারবো না; সে বলবে আমিই সামনে তাকিয়েছি তাই এই বিচ্ছেদ। হতে পারে, আর যাই হোক, স্মৃতিকে কিছুতেই সামনে নিয়ে যাওয়া যায় না। আপনি পারবেন? স্মৃতি পেছনেই থাকতে চায়, হয়তো, সেখানেই তার শান্তি; সবাই আনন্দ নিয়ে obsessed নয়।
স্মৃতির চোখ, নাক, ঠোঁটের বর্ণনা দেওয়া খুব একটা সহজ নয়, ভেবে নিন ওই একটা গন্ধের মতো : উগ্র না, মিষ্টিও না, ঠিক খারাপও না; বুঝতে পারছেন? মানে, ওই sweet স্পট-টা : যে গন্ধে মুগ্ধতা নেই, আছে melancholy-র আনন্দের স্বাদ। যদি পেয়ে থাকেন, আপনিও না হয় একটু স্মৃতিচারণ করে নিন।
আরে করে নিন, করে নিন। আপনার স্মৃতি lactogen-এ দুধ রুটি, নাকি রুপোর বাটিতে cerelac-এর আদর, আপনিই বুঝবেন। ও, এগুলো তো আমার স্মৃতি। আপনার মনে আছে cerelac-এর স্বাদ বা lactogen-এর টেবিল-টপ experiment ? আমার বুঝি তখনও ১২ বছর বয়স হয়নি। ২৪-এ যদিও বিছানায় শুয়ে cerelac খেয়েছিলাম এক মাস; তারপর বলা যায় mutual ছাড়াছাড়ি।
স্মৃতি এখন মহিলা সমিতির দায়িত্বে আছে। নিজের কাজ যে সে ভালোই করছে তাতে এখন আমার সন্দেহ নেই। ন্যাড়া হেডলাইনে বাকি থাকা দুটো চুল চকচকানো স্মৃতির উদ্দেশ্য নয়; গভীরতা তার প্রেম; থাক! হারানো তো আসলে হারানো নয়।
আপনি হায়দ্রাবাদের ইরানী চা খেয়েছেন? শুনুন, কলকাতার নির্মল দার দোকানে যেটা পান, তাতেই মনে করবেন না যে চা-বিশারদ আপনি। সারাদিন ফোটালেই ভালো চা হয়না। আর না হলেই আদা দিয়ে দেবেন, সেটাও দয়া করে ভাববেন না। এখানে চা-এর কথা হচ্ছে, ছোলার ডালের না।
আলাদা করে জলে চা ফুটিয়ে নিতে হয়। তারপর শুদ্ধ দুধ জ্বাল দেওয়া, আলতো আঁচে; এর সাথে মোম দিয়ে নিজের ধৈর্য গলাতে হবে, আর দুধে মিশিয়ে দিতে হবে। ঘন করুন, আরও ঘন। ওসব ডেমি-ক্রিম femi-ক্রিম দিয়ে এই চা তৈরি হয়না। মোম শেষ হলে মাওয়া যোগ করুন দুধে; ঘন হতে দিন।
এবার সমান পরিমানে চা-এ এই ঘনত্ব মেশানো সূক্ষ আদরের কাজ।
চুমুক দিন। স্মৃতি ইরানী।
এখনও যদি আগে যা মনে এসেছিল সেই চিত্রই ফেরৎ আসে, তাহলে বলে রাখি, lactogen, cerelac, নির্মল দার পাড়ার দোকান হোক, বা হায়দ্রাবাদি দম চা; দুধ না খেলে, আপনার হবে না।
No comments:
Post a Comment