Friday, January 27, 2023

Freedom

 There's this singularity of a life 

Blessed or not, it exists, albeit, for once 

What do I do with it? 

Here I am, a model system :

Another particle trying to fit in, 

An environment, too complex for understanding 

And I wonder, why fit in at all?

It's my model, let me be free; 

For my sake, but within a renormalized bath -

Why not, eh? It's me and my existence

For me, for ever!



Wednesday, January 18, 2023

সুভাষনামা

কোনো জাহাজডুবি হয়নি। সুভাষ জাহাজে থাকতে চায়নি; ছোট একটা ডিঙি নামিয়ে সে নতুন দিগন্তের খোঁজে জলে নেমেছিল মাঝরাতে। অন্ধকার আকাশে ঠিক ধ্রুব তারা খুঁজে পেয়েছিল সুভাষ; তাই ভয় পায়নি। সমুদ্র তখন শান্ত; বয়স অল্প। তাই কিছুটা জেদের সাথেই পাড়ি দিয়েছিল অজানা ভবিষ্যতের রোমাঞ্চে।
নৌকো চালাতে চালাতেই হাওয়ার ব্যবহার বুঝতে শিখেছিল সুভাষ। ছোট ছোট ঢেউ চেপে হয়তো কোনো একদিন এমন দ্বীপে পৌঁছনোর স্বপ্ন ছিল, যেখানে গুপ্তধন না থাকলেও, তাকে আবিষ্কার করার মহানন্দ লাভ করা যায়। সেই স্বপ্নালু চোখে নোনা বাতাসের ঝাপটা এসে পড়ল এক সন্ধ্যেবেলা। ঝড়। নৌকো উল্টে দেওয়ার ঝড়, ছোটবেলায় শেখা সাঁতারের প্রথম কঠিন পরীক্ষা। অথৈ জল, নিজেকে ভাসিয়ে রাখার লাইফ জ্যাকেট ছাড়া আর কোনো আশ্রয় নেই তখন। কোনো প্রকারে উল্টে যাওয়া নৌকোর সাথেই নিজেকে আঁকড়ে রেখে সেই ঝড়ের রাত কাটিয়ে দিলো সুভাষ। তখন পেট ভর্তি নোনা জল। ভোর হতে দু'বার বমি করে আস্তে আস্তে শরীরে বল ফেরত এলো। সাঁতার ছাড়া গতি নেই। 
কিছুটা সাঁতরাতেই সুভাষ বুঝলো সে তীরের দিকে যাচ্ছে। আবার কিছু ক্ষন পাওয়া গেলো জীবনে যখন সমুদ্র শান্ত, পৃথিবী পার্থিব। বেশ কিছু জেলেদের সাথে পরিচয় হলো। যার নৌকা যেমনই হোক, সবাই বলছে তারা নাকি বড় মাছ ধরতে বেরিয়েছে। কেউ কেউ বললো, নৌকায় জায়গা আছে, উঠে পড়তে। উঠে পড়লো একজনের নৌকায়, মাছ ধরতে শেখার নবজাগরিত ইচ্ছে নিয়ে। একদিন, দু'দিন, কিছুদিন যেতে সুভাষের মনে হলো যেন জেলে আক্ষেপ করছে তাকে নৌকোয় নিয়ে; এ ছেলে তো মাছ ধরতেই জানে না! এসব basic skill ছাড়াই আজকাল সব নাবিক হতে চায়! সুভাষ ছোটখাটো একটা মাছ ধরলো একদিন। হাসি মুখে জেলেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে মাছটি দিয়ে অন্য জেলের নৌকোয় চলে গেলো। 
সেখানে মাছ ধরার সাথে জীবনের গান গাইতে শিখলো সুভাষ। এই নৌকোর জেলে একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলো, সে জীবনে কি চায়? সুভাষ বললো, সে শিখতে চায়। জেলে মাথা নেড়ে বললো, সারা জীবন শুধু শিখতে চাইলে তুমি শেখাবে কি করে? জলে থেকেছ এতদিন, সবাই তো এরপরে তোমায় শেখাতে বলবে! 
সুভাষ সেদিন জলে নেমেছিল আবার, হয়তো একটু অনিচ্ছার হাত ধরেই। কিন্তু সে বুঝেছিল তাকে নামতে হবেই; সে জীবনের কাছে নিরুপায়। কিছু দূর সাঁতার কাটতেই স্টীমারের হর্ণ তার কানে এসে পৌঁছল। মুখচোরা সুভাষ চোখ তুলে তাকাতে দেখলো, জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে আছেন একজন লম্বা সুপুরুষ সৈনিক। স্টীমার সুভাষের দিকেই এগিয়ে এসে তার জন্য জলে দড়ি নামিয়ে দিল। সুভাষ ডেকে উঠে দেখলো তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকে পরীক্ষা করছেন একজন প্রৌঢ়। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সেই সৈনিক। 
প্রৌঢ় বললেন, বলো কোথায় যেতে চাও? বলতে তোমাকেই হবে। সুভাষ ঠিক বুঝে পেলো না কি হচ্ছে! স্টীমার যেখানে যাবে, সেটাই তারও গন্তব্য নয়? এও হয়? সুভাষ মাছ ধরতে যখন শিখছিল, তখন বেশ কিছুবার ভেবেছিল উত্তরের দিকে যেন তীর দেখতে পেতো। সে বললো যে সেই উত্তরের তীরেই সে যেতে চায়। প্রৌঢ় ও সৈনিক বেশি কিছু বললেন না, স্টীমার ঘুরিয়ে দিলেন সেই দিকে। প্রথমবার সমুদ্রে আনন্দ পেলো সুভাষ, স্বেচ্ছায় মাছ ধরলো ক'দিন। তার উৎসাহ দেখে প্রৌঢ় ও সৈনিক তাকে জালও ধার দিলো। এভাবেই একদিন সেই উত্তরের তীরে এসে পৌঁছল স্টীমার। বোঝা গেল, মরুভূমি। ধূ ধূ প্রান্তর; কিছুদূর গিয়ে সুভাষ পেলো একটি ম্যাপ। ফেরত নিয়ে আসলো স্টীমারে। এই ম্যাপ মূল্যবান কিন্তু জলপথে গেলে এর কোনো গুরুত্ব নেই। প্রৌঢ় ও সৈনিক রওনা দিলেন স্টীমারে; আশীর্বাদ করলেন সুভাষকে। বললেন, আবার যেদিন দেখা হবে, সেদিন এই ম্যাপ-এর রহস্য জানতে উদগ্রীব হবেন সুভাষের থেকে। সাথে দিলেন এক মরুদ্যানের খোঁজ। হাসি মুখে বিদায় নিলো সুভাষ। 

বেশি দূর চলতে হলো না। মরুদ্যানে পৌঁছে ম্যাপ পাশে রেখে একটু জিরিয়ে নিলো সুভাষ। আহ! কতদিন পর মিষ্টি জল মুখে পেলো। নারকেল গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ কি ঘুমিয়ে নেওয়া যায় না? গুপ্তধনের আশায় সুভাষ ম্যাপ নিয়ে আগ্রহী নয়। সে শুধু তার রহস্য উন্মোচন করতে চায়। কিন্তু সেই কাজ কোনো মতেই সহজ নয়। তাকে শিখতে হবে নতুন ভাষা, নতুন অঙ্ক। আজকের রাতটুকু ঘুমিয়ে নেওয়া যায় না? সে বড় ক্লান্ত। অথচ তার উৎসাহ মনের গভীর থেকে তাকে যেন সতর্ক করে চলেছে। কি অদ্ভুত বিচারের সম্মুখীন আজ সুভাষ, একা, সেই জাহাজের রাতের মত; তফাৎ শুধু এই - যে এখন তার পায়ের নিচে রয়েছে বাস্তবিক মাটি।

Friday, January 6, 2023

অন্তমিলের ব্রতচারিতা

ইচ্ছে তো করে তোমায় পত্র লিখে বলি,
ঘুম থেকে উঠেই বইবো বাজারের থলি।
খসবে না পান থেকে চুন, দেওয়াল থেকে বালি
শব্দ আছে অনেক, আছে দোয়াত ভরা কালি।

দিন যাপনের গাঁথা, বা রাত পোহানোর কাঁথা 
সকাল সকাল বেরোলেও দেবো সন্ধ্যে ভরা কথা।
চাইনিজ যত ভাত, কিম্বা মোগলাই বা পাঠা
স্বাদ বলবে তুমি - সে জল হোক বা আঁঠা।

ট্রেন ধরবো সাথে, সুদূর ডান হইতে বাম
চলতি সাধু তোমার লগে সোজা নবদ্বীপ ধাম।
মান করলে সীতা - এ নবজীবনের রাম
সুড়ঙ্গ পথেই না হয় দেবে ভালোবাসার দাম।

তাছাড়া থাকবে ছাত, থাকবে মত্ত হাওয়া 
থাকবে অনেক দেওয়া, থাকবে প্রচুর পাওয়া ।
থাকবে না মিছে গর্ব, মূল্য পাবে চাওয়া
অন্তমিলে থাকুক কেবল তোমার এগিয়ে যাওয়া।

Tuesday, January 3, 2023

মোহনা

 আমি বসে বসে ভাবি, ঘণ্টা বাজবে একদিন 

মনের ভেতর, সমস্ত শরীরকে বিদ্যুতের ছ্যাঁকা দিয়ে ।

দাঁড়িয়ে উঠবো হঠাৎ; শিরদাঁড়ায় ভর দিয়ে 

দৃষ্টি দেখবে না যা দেখা যায়, সে হবে স্থির - 

জীবনে প্রথমবার নিজের লক্ষ্য দেখতে পেয়ে।

বাঁধন ছিঁড়ে যাবে এক এক করে, টের পাব না বাস্তবের 

হঠাৎ যেন ছুটতে পারবো সেদিন; প্রথমবার 

         যেভাবে কোনোদিন পারিনি।


এই যে আমি বসে বসে ভাবি - এর মধ্যেই 

অঙ্ক মিলিয়ে ফেলে শত শত মানুষ, কেউ জিতে নেয় সোনা 

কেউ নতুন নতুন ফন্দি এঁটে ফেলে জীবনের জয়গানের

কেউ রেখে দেয় নিজেকে অন্যের কোলে - 

কত মানুষ কত কাজ করে ফেলে, জীবনের তাগিদে 

আর আমি - বসে বসে ভাবি - 

কবে নিঃসংকোচে নিশিডাক দেবে চেতনা !


সেদিন আমি কি দেবো চেতনাকে?


বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...