Thursday, November 24, 2022

গ্লোবাল নাগরিক

আমার সভ্যতা বাংলায় সীমিত না;

অসভ্যতাও না। 

আমি গ্লোবাল নাগরিক -

আফ্রিকা বলতে বুঝি নগ্ন যাযাবর, মাসাইমারা 

আর পকেটে  হাত পড়তেই মুখে চে গেভারা;

আমার কবিতায় দুঃখিত জীবনানন্দ,

আমার সংগীতে নজরুল-মঞ্চ-নির্ভানা;

 আমার ভাষায় বিরক্তি, আশায় নিরাশা 

বর্ণপরিচয় পুড়ে ছাই, তাও গভীর কুয়াশা। 

 

তুমি তোমার কেদারায় ভালো আছো তো?

পৃথিবীকে আরেকটু সুন্দর বানাচ্ছ তো?

কি বললে? সময় নেই? 

আহা রে! কখন ছিল যেন?


আমি ঠাকুমার ঝুলি খুলতে আসি নি। 

তুমি যা চাও, যে ভাবে চাও - তার জন্য বাজারে যাও। 

কবিতা যদি জীবনই হবে তাহলে ছন্দ কিসের?

ছন্দ মেশিনের কাম্য।  তোমার নয়। 

ছন্দ হারাতে কিসের এতো ভয়?


সব ছন্দ ভাঙো। গড়তে না জানলেও। 

নিজের ভেতর। 

অনেক সুন্দর লুকিয়ে থাকে কঠোরতার আড়ালে 

ভয় পেয়ো না; হয়তো আমাকেও ভাঙতে পারলে।

Monday, November 21, 2022

কাগজ

 আবেগের সন্ধ্যে,

আমি বিকেলের বৃষ্টি-ভেজা যাযাবর কাগজ;

আমার বুকে উল্কি করা আছে গতকালের ইতিহাস,

আর পিঠে - আগামীর কিছু সাহসী বিজ্ঞাপন -

আমি জীবিত সময় - যার সাহস বহুদিন বুক ছেড়ে পিঠে আশ্রয় নিয়েছে।

ফুটপাথের গায়ে লেগে থাকি - সকালের পরিচ্ছন্নতার ভয়ে,

 এক টানে ড্রেনের শেকল ছাড়া যার আর আলো দেখা হবে না।

আমি রাত জেগে থাকি তাই, অস্তিত্ব যাচাই করে নিতে 

যেমন কিছু মানুষ করে, দিনের যন্ত্রনা অন্ধকারে বিলিয়ে দিতে।

তুমি ক্ষণস্থায়ী - সকাল, দুপুর, বিকেলের মতোই 

কিন্তু রাত? তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ উপন্যাসের প্রতীক

থেকে যায়; নিঃশব্দে, নির্দ্বিধায়।

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...