আমি ঝড়ের কথা ভাবিনি বহু দিন; বহু কাল, বহু যুগ
ধ্বংসের পর বাসার গভীর খুঁজেছি; গড়েছি; বুঝেছি
ভেঙে যাওয়া বৃক্ষের জীবন্ত শাখা জুড়ে; পাতা মুড়ে
ছাউনি বুনেছি আলো-ছায়ার; থেমে যাওয়ার; মেনে নেওয়ার।
ঝড় আসছে মাধবী! বুঝতে পারছো? ঘর-টা কেমন গুমোট হয়ে আসছে না?
এই তো, শঙ্কার আঁচল দেখা দিচ্ছে তোমার ভ্রুকুটির নির্লজ্জতায় ;
বাড়িয়ে দিচ্ছে মুহূর্তের এক একটা খোঁচায় তোমার সৌন্দর্য; তোমার অভিমান -
ঝড় আসছে প্রিয়তমা - তোমার ভেতর - সব তছনছ করে দিতে
আমার সাজানো কুপমন্ডুকতা - ভেঙে চুরমার করে দিতে ধৈর্যের অসহ্য অত্যাচার।
আমি এই উপত্যকার মানুষ নই অনুপমা; আমার রক্তে জল ঢেলো না আর
আগুন জ্বালিয়ে দেবো নিজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে; পুড়ে ছাই হবে আত্মসম্মান
বাস্প হবো আমি; বসন্তে মত্ত হবে কালবৈশাখীর পদচিহ্ন;
দশচক্র ছুটে যাবে আমার বুক ফুঁড়ে; ছিন্ন মস্তক মিশে যাবে হাওয়ায়
ঠিক তখন আসবে ঝড়; দেখো দু চোখ ভোরে, আমার অস্তিত্ব সেদিন;
ঝড় আনবো দিগন্তের ওপার থেকে, অভিশাপের তান্ডব আশীর্বাদ রূপে।
শুনবো না এই সংসারের মৃদু মধুবনী সঙ্গীত;
ধ্বংস যে জীবনের চেতনা, অনুপ্রেরণা তাকে বোতলে ভোরে দিয়ো না।
আমরা মাটির মানুষ নই; ত্রিশূল বুকে নিয়ে ঘুরছে অশ্বত্থামা
রক্তে এখনো অমরত্বের পরজীবী দাপাচ্ছে প্রিয়তমা
ঝড় তো আসবেই; লুন্ঠিত হবো আমি নিজের হাতে, চাবুকে
দাও দশভুজা তোমার ধার করা অস্ত্রের প্রাক-নির্ধারিত নিয়তি
এই ঝড়ের বুকে ঢেলে আবার; আরেক বছর পার; মহিষাসুরের হার।
আমার গল্পে লেখা আছে আশীর্বাদের গান; ব্রহ্মার মার। প্রতিবার। প্রতিবার।
No comments:
Post a Comment