Friday, November 29, 2019

ঘর

থাক না, যদি থাকে দুপুরের খাবার তোমায় ভুলে
ক্ষিদে কি আদৌ কোনোদিন অগভীর ছিল?
ভুলে থাকতে পারার ঐতিহ্য ক'জন বা পায়!
শুধু কবি জানে কোন শব্দের কতটা জোর,
কোথায় গাঁথা থাকে সর্বস্ব মরমের ভেতর,
ভুলের যজ্ঞশালায় কোথাও পুড়ছে বাসর
কোথাও ভাঙছে গদ্য, ছন্দ বাঁধছে ঘর।
তাই থাক;
নিংড়ে নেওয়া রাতের চিহ্ন জানলার ওপর।

Sunday, November 24, 2019

শরীর

শরীর। যার অঙ্গে অঙ্গে বিদ্রোহ
যার প্রতি তরঙ্গে মুক্তির গভীর তারণা
যার নরম ছোয়া আগুনের চেয়ে তীব্র
অথচ শীতল জলে ধুয়ে যাওয়া সব অনর্থ।
পেয়েছো তেমন শরীর তুমি?
যাকে নিজে ছোঁবে বারবার
আয়নার সামনে পরিহাস করবে সৃষ্টিকে
অহংকার হবে এক মাত্র যার অলংকার;
পেয়েছো সেই শরীরের নিজের শরীরে স্বাদ?
দেখেছো ভস্ম হতে প্রেমিকের সব তেজ
মিলিয়ে যেতে তোমার মধ্যে একবার বারবার?
যদি সেই শরীর আজ তোমায় বিদ্রুপ করে
আয়নায় হেসো একবার,
তুমি শরীরের নও, শরীর তোমার।

উত্তর দক্ষিণ

দক্ষিণ? মুখ ফিরিয়ে নিয়ে উত্তরের পথে সে
কিন্তু যতই উত্তরে যায়, মেঘ ভিড় করে আকাশে।
রোদের তীব্রতা ফেলে দ্রুত পালাবে ভাবে কবি
আর্দ্র হাওয়ার বিভীষিকা তাই ভেবে দ্যাখে নি।
রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রিয় লেখকের পুঁথি
হঠাৎ খেয়াল হয়, সময়ের খেয়াল সে আদৌ রাখেনি।

বন্ধু যেন বাজারি দই-এ আলতো মধুর প্রলেপ
দু' চামচেই টকে যাওয়া বাস্তব আসে ফিরে;
দুপুর গড়ালে উত্তরে যখন সন্ধ্যে নামে ধীরে
আকাশ মস্ত কয়লার খনী, ছড়িয়ে কত হীরে।

Monday, November 4, 2019

ফাগুন

নীল আকাশের নিচে ফাল্গুনী হাওয়া। বৃষ্টি আবার কবে আসবে, তার অপেক্ষা। শুকনো খড়ের চালায় 
কিছু শুকনো পাতার আনাগোনা; বাঁশি বাজতে চাইলেও রাখালের বুকে সুরের অভাব।

সে মাঠ আজ নেই, বিক্রি হয়ে গেছে সরকারের কাছে। কারখানা হবে নাকি। গরুগুলোকেও তাই বিক্রি করে দিতে হলো। কে জানে, ওই কারখানায় তারাই আবার ফিরে আসবে নাকি।

হাতের খুব কাছে বাঁশি শুয়ে আছে। সে কোনোদিন মেনে নিতে পারলো না রাখালের নির্ণয়গুলো। নিজেকে
গুটিয়ে নিলো, কিন্তু স্বার্থপর শুষে নিলো বুকের সুরটা নিজের বেঁচে থাকার তাগিদে, পাছে অন্য কোনো রাখাল যদি তাকে খুঁজে পায়!

বন্ধু

 ভোর-রাতে, নিঃশব্দে সময় এসেছিল পাশে  জীবনের কিছু ক্ষণ নিয়ে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে । হাতে হাত, পুরোনো দুই বন্ধুর দেখা বহুদিন পর; হঠাৎ করেই খুঁজে...