আবার সময় আসতে চলেছে যখন চাঁদের ওজন, আর কে ছিল রামের বোন , প্রশ্ন-পদাবলীর শীর্ষে স্থান পাবে। ব্যোমকে গেলে হবে না। Science আর Mythology দু-ক্ষেত্রে সঙ্গমিত হতে পারে - দুটো extreme পর্যায়। ১. সমাজ যখন শিক্ষার চূড়ায় থাকে, আর দ্বিতীয়টা না বললেও চলে। গরমকালে পাহাড়ের ওপর থেকে বহুদূর অবধি দেখতে চাইলেও, স্পষ্ট দেখা যায় না। মাটির তাপে দগ্ধ হয়ে গরম হাওয়া তাড়াতাড়ি আকাশে উড়তে চায় (আসলে হাওয়া তো আর জলে ঝাঁপ দিতে শেখেনি); কিন্তু ওপরে থাকা হাওয়া কেন নিজের জায়গা ছেড়ে দেবে? অতএব সেই মিলনক্ষেত্রে দুজনের ঝগড়ায় আমাদের চোখে দিগন্ত ঝাঁপসা হয়ে ওঠে।
এই যে মাঝখানে লড়ে যাওয়া, নিজের সাথেই, নিজেকেই বিবিধ রূপে বিভক্ত করে, এর অস্তিত্ব শুধু দিনের বেলায়ই। রাত নেমে এলে, কোনো দিগন্ত এমনিও দেখা যায় না। তখন পড়ে থাকে নিজেরই সমস্ত রূপের মৃত দেহ। Load-shedding হোক বা না হোক, সিগারেট পুড়ুক বা জীবন, মন - দেশলাই ঠিক জ্বলে চলেছে।
Story-telling-এর grammar অনুযায়ী গল্প কোনদিকে যাচ্ছে তা বুঝে ফেলা যায়। এই বোঝার মধ্যে মেধার তেমন কোনো role নেই। অতএব জন অরণ্যের শুরু থেকেই আমরা জানি ঠিক কি হতে চলেছে। কিন্তু storyteller নির্ণয় করেন কি ভাবে আমরা point A to point B পৌঁছবো। সেটা বাস-এ হতে পারে, ট্রামে বা ট্যাক্সিতেও হতে পারে; আবার পাতালের পথ হয়েও।
আমি শঙ্করের জন অরণ্য পড়িনি। সত্যজিৎ রায়ের গল্পই আমার একমাত্র source . সিনেমার শেষের আধ ঘন্টা দর্শককে উনি tease করেন। দর্শক জানে নদী কোন পথে বইছে। এ এমন নদী, যে মাঝে দু বার বাঁধ দেওয়ার প্রচেষ্টায় আমাদের মনে একটু আশা জাগে; যাক সেই মানুষটা তো না... এর থেকে অন্ততঃ একটা প্রশ্ন তো উঠেই আসে, যে মানুষকে আমরা চিনি না, তার প্রতি আমরা কি আদৌ সহানুভূতিশীল?
যদি না হয়ে থাকি, তাহলে কি সহানুভূতি মিথ্যে sentiment মাত্র? নাকি আমাদের মানুষ হিসেবে কর্তব্য সহানুভূতির গন্ডিটা বাড়ানোর?
কিন্তু কতদূর? নিজেকে মেরে অন্যকে বাঁচানো কি সম্ভব? হ্যাঁ, কিছু মানুষের জন্য হয়তো সম্ভব, কিন্তু আমরা, যারা শুধু পরীক্ষা দিতে শিখেছি, নিজেরটা আদায় করতেই trained হয়েছি, এই আমরা - ভারতীয়, বাঙালী middle -class কি তাহলে আদতে এক একটা middleman / middle-woman নই?
হলেও, জন্ম থেকে কেউই কিছু হয়না। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব কিনা জানিনা সব সময় , তবে উচিৎ অবশ্যই। সত্যজিৎ বাবুর সিনেমায় শেষ দৃশ্যে সোমনাথ অন্ধকারে ঢুকে যায় এবং তার আদর্শবাদী বাবা স্বস্থির নিঃস্বাস ন্যান।
মেনে নিতে হয়। সিনেমা শেষ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু জীবনে বারবার বিদ্রোহ করা যায়, পরীক্ষা দেওয়া যায়। কেউ ক্লাস 5 এ হাল ছেড়ে দেয়, কেউ তিরিশ পেরোলে। বাকিরা লড়াই করে যায়।